সৌভিক সিকদার, গুসকরা পূর্ব বর্ধমান-: পরিচ্ছন্নতার কাজ মোটামুটি সারবছর ধরে চললেও বর্ষার আগে গুসকরা শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি যেসব জায়গায় জনগণের ভিড় বেশি থাকে সেগুলি এবং নিকাশী নালাগুলি পরিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় গুসকরা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য শহরকে দূষণমুক্ত রাখা, ডেঙ্গু যাতে ছড়িয়ে না পড়ে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শহরের কোথাও যাতে জল না জমে যায়।
পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪ শে মে গুসকরা পুরসভার পক্ষ থেকে গুসকরা মহাবিদ্যালয় চত্বর পরিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস বিভাগ।
পুরসভার সাফাই কর্মীরা মহাবিদ্যালয়েল ভিতরের চারপাশের আগাছা পরিস্কার করে এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দেয়। গত বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে মহাবিদ্যালয় চত্বর জলে ভেসে যায়। সেই দুঃস্বপ্নের কথা মাথায় রেখে জলনিকাশী নালাগুলি সংস্কারের প্রতি অতিরিক্ত নজর দেওয়া হয়।
সাফাই করার সময় সাফাই কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জী, এনএসএস বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মনেশ্বর সরকার এবং পুরসভার সাফাই দপ্তরের সুপারভাইজার প্রদীপ দাস, চন্দন যশ ও পুরপ্রধান কুশল মুখার্জ্জী সহ অন্যান্যরা।
পুরপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অধ্যক্ষ ড. চ্যাটার্জ্জী বললেন, বর্ষার আগে এই পরিচ্ছন্নতার জন্য মহাবিদ্যালয় চত্বরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি হয়েছে তেমনি বিষাক্ত সাপ সহ অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে ছাত্রছাত্রীরা কিছুটা নিরাপদ থাকবে।
অন্যদিকে পুরপ্রধান বললেন, মহাবিদ্যালয়টি শুধু গুসকরা শহর নয় পার্শ্ববর্তী এলাকার গর্ব। আমি নিজেও এখানকার ছাত্র। স্বাভাবিকভাবে এটির প্রতি আমার অতিরিক্ত দুর্বলতা আছে।শহরের গর্বের যাতে মর্যাদা হানি না হয় তারজন্য আমরা সর্বদা সচেতন আছি। আশাকরি ছাত্রছাত্রীরাও নিজেদের গর্বের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখবে।





