সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– চাকরি ছেড়ে চাষবাস! তাও আবার সরকারি চাকরি। একটা দুটো নয় প্রায় ডজনখানেক কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি চাকরি ছেড়ে অবশেষে আমবাগানে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন বাঁকুড়ার যুবক ডক্টর মানস মণ্ডল। যা অবাক করার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার অনুপ্রেরণাও যোগাচ্ছে।
বাঁকুড়ার ইন্দপুরের জোরদা এলাকায় রয়েছে মানষ মণ্ডলের প্রায় দেড়শো বিঘা জায়গা জুড়ে বিশাল আম বাগান। যেখানে রয়েছে ২০ প্রজাতির প্রায় আট হাজার আম গাছ। তার মধ্যে কোহিতুর, আলফান্সোর মতো পৃথিবীখ্যাত ও দামি প্রজাতির আমও রয়েছে। এবারে ফলন ভালো হওয়ায়, ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। মানুসবাবু জানান তাঁর বাগানের আম স্থানীয় বাজারে বিক্রি তো হচ্ছেই, এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে গ্রাহকেরাও ছুটে আসছেন আমাবাগন থেকে আম কিনতে। পাশাপাশি এবছর তাঁর বাগানের আম দিল্লির মেলায় পৌঁছে সুখ্যাতিও অর্জন করেছে।
তবে চাষবাসের ক্ষেত্রে নিজেকে এখনও সফাল বলতে নারাজ ডঃ মানস। মানসবাবুর কথায় দশ বছরের চাকরি জীবনের পরে সবে গত চার বছর ধরে এই কৃষিকাজের পেশায় এসেছেন। তাই এই পেশায় সফলতার মাপকাঠিতে পৌঁছতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু দীর্ঘ চাকরি জীবন ছেড়ে কৃষিকাজ বা চাষবাষে কেন? প্রশ্নের উত্তরে মানসবাবু জানান, একে তো প্রকৃতির সঙ্গে ও কাছাকাছি থাকলে যে শান্তি পাওয়া যায় তা অন্য ক্ষেত্রে মেলেনা। এছাড়া চাকরি করে শুধু নিজের ও পরিবারের চাহিদা পূরণ করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি নিজেরে পাশাপাশি আরও ১০টি পরিবারের দায়িত্ব নিতে পেরেছেন। বর্তমানে তাঁর বাগানে ১০ জন কাজ করছেন।
আমের মরশুম চলে গেলে চেরি টমেটো ও স্ট্রবেরির মতো এক্সটিক সবজি ও ফলের চাষ করেন ডঃ মানস। ফলে সারা বছর ধরেই চলতে থাকে চাষবাস । বর্তমান সময়ে আমাদের এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে বেকারত্ব যখন একটি অন্যতম বড় সমস্যা, তখম ডঃ মানসের এই সাহসী সিদ্ধান্ত বর্তমান নবীন প্রজন্মকে পেশাজীবন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে চিন্তাভাবনার অবকাশ করে দেবে।
















