জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-: শাসক বদলায় কিন্তু পুলিশ বাহিনীর দিকে ছুঁড়ে দেওয়া বিশেষণগুলো বদলায় না। স্বার্থের হানি হলেই কেউ বলে ‘দলদাস’, কেউ বলে ‘চটিচাটা’। পরবর্তীকালে হয়তো নতুন কোনো শব্দ বন্ধনী আসবে। অথচ আইনের রক্ষক পুলিশ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই নীরবে প্রকৃত সমাজসেবক হিসাবে যে সামাজিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে সেটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তার কাজ করে চলে। আবার তাদের সেই ভূমিকার সাক্ষী থাকার সুযোগ পেল গুসকরাবাসী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর স্বপ্নের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্পটিকে সফল করে তোলার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও কর্মীরা। সম্প্রতি পথচলতি মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে গুসকরা ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক ও কর্মীরা শহরের বুকে একটি র্যালির আয়োজন করে। হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পরার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সতর্কতার সঙ্গে বাইক চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। গুসকরা ইটাচাঁদায় রাস্তার ধারে আছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানকার কচিকাকাচাদের ও তাদের অভিভাবকদের পথনিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এছাড়া কচিকাচাদের জন্য ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয় বিশ্বউষ্ণায়নের করাল গ্রাস থেকে পরিবেশকে রক্ষা করা তথা ‘সবুজায়নের’ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে চারাগাছ। বিদ্যালয় চত্বরে বেশ কয়েকটি চারাগাছ রোপণ করা হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি বিশ্বনাথ দাস সহ অন্যান্যরা। গুসকরা ট্রাফিক গার্ডের ওসি বিশ্বনাথ পাইন বললেন, আমরা এই সমাজেই বাস করি। সুতরাং সমাজের প্রতি আমাদেরও একটা দায়িত্ব আছে। নিছক যান্ত্রিক কর্তব্যবোধ নয়, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই পথচলতি মানুষকে নিয়ত পথনিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করে থাকি। এই সুন্দর পৃথিবীকে বিশ্বউষ্ণায়নের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মাঝে মাঝে বৃক্ষরোপণের আয়োজন করে থাকি। প্রত্যেকের কাছে আমাদের অনুরোধ পরিবারের ও পরিবেশের স্বার্থে সবাই সচেতন হোন।





