নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুর,আসানসোলঃ- আসানসোল থেকে কলকাতা গামী পণ্যবাহী গাড়ি আটকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। স্তব্ধ জাতীয় সড়ক। চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ থেকে পণ্যবাহী গাড়ির চালক,খালাসিরা। জাান গেছে রথযাত্রা এবং মহররমের জন্য কলকাতায় ভারী গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার জেরেই এই যানজট।
প্রসঙ্গত শনিবার রাত থেকে কলকাতা থেকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের আসানসোল থেকে কলকাতা গামী পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জাতীয় সড়ক জুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দেখা যায় আসানসোল থেকে দুর্গাপুর হয়ে পানাগড় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে একের পর এক ট্রাক, ট্রেলার, ডাম্পার। যদিও ছোট গাড়ি এবং বাস সার্ভিস রোডে যাতায়াত করছে।
এই যানজট নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটর এসিপি ট্রাফিক (৩) রাজকুমার মালাকার জানান, রথযাত্রা এবং মহরমের জন্য কলকাতা অভিমুখে যাওয়া ভারী গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই জন্যই এই যানজট। সোমবার দুপুর পর্যন্ত এই নির্দেশ রয়েছে। চালকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য ট্রাফিক কর্মীরা তৎপর রয়েছেন।
যদিও যানজটে আটকে পড়া পণ্যবাহী লরি চালকরা জানান জানান, শনিবার রাত থেকে তাঁরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। খাবার দাবার কিছু নেই। কখন ছাড়া হবে সেটাও জানেন না। এভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
অন্যদিকে এই যানজট নিয়ে “এটাই হচ্ছে এগিয়ে বাংলা” বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন,”চালকরা বলছেন বিহারে, উত্তরপ্রদেশে বা অন্য রাজ্যে এইরকম সমস্যা হয় না। যত সমস্যা হয় এই বাংলায়। তারা খাবে কোথায়। আর মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করার জন্য যা খুশি তাই করছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে বর্ধমানে যাচ্ছিলাম। গোটা রাস্তা যানজট হওয়ায় আমাকেও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।”
যদিও তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বিজেপির উভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে দাবি করেন, উৎসবের মরশুমে দুর্ঘটনা এড়াতেই এই তৎপরতা কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ।





