সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ। বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মভিটে জামুড়িয়ার চুরুলিয়ায় অবস্থিত নজরুল অ্যাকাডেমির জাদুঘর থেকে কবির সমস্ত জিনিস কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন কবির পরিবারের সদস্যরা। সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি সকলের সামনে আনা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে কবির পরিবারের তরফে কাজি আলী রাজা বলেন, “কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্বেচ্ছাচারিতা করছে। নজরুল অ্যাকাডেমির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর সাথে আলোচনা করে ঠিক হয়েছিলো যে কাজি নজরুল ইসলাম সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী কাজি নজরুল অ্যাকাডেমিতে রাখা হবে। কিন্তু নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এখান থেকে সব সামগ্রী সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।” এমনকি সাংসদ বিধায়করা বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৫ টাকা অনুদান দিলেও অ্যাকাডেমির কোনও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন কাজি আলী রাজা। পাশাপাশি কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে স্বেচ্ছাচারিতা করছে তা সহ্য করা যায় না বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অন্যদিকে কাজি আলি রাজার তোলা অভিযোগ অস্বীকার করছেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার উল্টে দাবি করেন, “সংস্কারের জন্যই কবির জিনিস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সব কাজ হয়ে গেলে সবকিছু আবার জাদুঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” তাঁর দাবি স্বপক্ষে তিনি বলেন, “নজরুল অ্যাকাডেমি বলে এখন আর কিছু নেই। এখন সেখানকার সবকিছু দায়িত্ব নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের। রাজ্য সরকার কবির জন্মভিটে নিয়ে পরিকল্পনা করেছে। পর্যটন দপ্তরকে দিয়ে পুরো সাজানো হচ্ছে। তারজন্য রেনোভেশন বা সংস্কার করা হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি কবির পরিবারের সদস্যদের প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “পরিবারের নাম করে কেউ বা কারা কবির সবকিছু কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে।”
সবমিলিয়ে বিদ্রোহী কবির জিনিস নিয়ে পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এভাবে দড়ি টানাটানিতে আদপে কবির সম্মানহানী ঘটছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।





