সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- শ্রাবণ মাস পড়ে গেছে, এই মাস ভোলে বাবার মাস, ব্যোম ব্যোম ভোলে আর তারকনাথের নাম নিয়ে সকলে ধামের দিকে ছুটে যান। আসলে আমাদের মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্যও তো তাই, অন্ধকার থেকে আলো, খারাপ থেকে ভালো আর পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্বের মধ্যে উত্তীর্ণ হওয়া। সচরাচর আমরা অনেক সময় দেখি কিছু মানুষ আছেন, যারা সংসারের মধ্যে থেকে চরম শিবভক্তির প্রকাশ করেন , সকালে উঠে শিব স্নান করাচ্ছেন, তারপর খাবার খাচ্ছেন, সারাদিনের মধ্যে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় মন্দিরেই ব্যয় করছেন, অথচ সাংসারিক জীবনে সম্পত্তি দখলের জন্য মিথ্যে অপবাদ এমনকি প্রয়োজনে নিজেকে কালিমা লিপ্ত করতেও দ্বিধা করছেন না! চারিত্রিক এমন নীচতা এবং ভক্তির মিল দেখে প্রশ্ন জাগে মনে এদের কি শিব রক্ষা করবেন? এদের পাপ কি ধৌত হবে? এরা কি সত্যিই ভক্ত না ভন্ড?
বৈদিক ও তান্ত্রিক পন্ডিত কৃষ্ণেন্দু সান্যালের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা হচ্ছিল,বিশদ ব্যাখ্যা না করেই অল্প কথাতে তিনি যা বললেন, তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, তিনি বললেন,“ শিবের ভক্ত রাম ও রাবণ দুজনেই ছিলেন। রামের থেকেও রাবণ কিন্তু আরও বেশি শিব ভক্ত ছিলেন। কিন্ত কর্ম ফল কাউকে ছাড়ে না তাই রাবণ কেও ধ্বংস হতে হয়েছিলো।”
অর্থাৎ মানুষ যারই ভক্ত হোন না কেন, যতবড় ই ভক্ত হোন না কেন, তার পাপ তাকে সিংহাসন থেকে চ্যুত করবেই, তার বিনাশ করবেই। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই যদি শ্রাবণ মাসে আপনিও চান মহাদেবের কৃপা তাহলে অন্তরকে শুদ্ধ করুন আর এই শুদ্ধ করার প্রার্থনা শুরু হোক ভোলে বাবার চরণে প্রার্থনার মধ্য দিয়েই। কারণ সেই মহাকালের থেকে শক্তি নিয়ে আমরা নিজেদেরকে শুদ্ধ করতে পারব। হর হর মহাদেব।




