সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- আসানসোলের রূপনারায়ণপুরের দশম শ্রেণির ছাত্রীর অপহরণের ঘটনায় নয়া মোড়। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের নাসিকের একটি বস্তি থেকে তাকে উদ্বার করল পুলিশ। রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী অপহরণের নাটক করে নিজেই বাড়ি থেকে পালিয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার কিশোরীকে নাসিক আদালতে পেশ করে আসানসোলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই উত্তেজনাপূর্ণ নাটকীয় ঘটনার অবশেষে যবানিকা পতন করল সালানপুর থানার অদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত ১৯ জুলাই সকালে টিউশন পড়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই কিশোরী। কিশোরীর সহপাঠী এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো তথ্য না পেয়ে অবশেষে সালানপুর থানার দ্বারস্থ হন কিশোরীর বাবা ইসিএলের কর্মী জাহাঙ্গীর খান। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে ওই দিন আসানসোল স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে উঠে পড়ে ওই ছাত্রী। ট্রেনে বিহারের বাসিন্দা, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে কাজের উদ্দেশে যাওয়া জনাকয়েক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তাদের কাছে নিজেকে অনাথ পরিচয় দিয়ে দুঃখে ঘর ছাড়ার কথা জানায় সে। যুবকরা তার কথায় বিশ্বাস করে তাকে সঙ্গে নিয়ে যায় গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে পৌঁছায়। অন্যদিকে, অপহরণের নাটককে বাস্তব রূপ দিতে ওই ছাত্রী নিজেই বাড়িতে মেসেজ পাঠিয়ে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এমনকি ভিডিও কলে কান্নাকাটি করে এবং নিজের ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় নিজেকে অপহৃত দেখানোর নাটকও করে।
এদিকে, সালানপুর থানার পুলিশ অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে তদন্তকারী দল পাঠায়। অবশেষে মেয়েটির মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে সে নাসিকে রয়েছে এবং স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নাসিকের একটি বস্তি থেকে বিহারের কয়েকজন যুবকের ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত দিন দুই আগেই পুলিশ তদন্তে কোনো কিনারা হওয়ায় হতাশ হয়ে মেয়ের অপবরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন করেছিলেন কিশোরীর বাবা জাহাঙ্গীর খান। এদিন সকালে তিনি সালানপুর থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে জানান, পুলিশের তৎপরতায় তিনি খুশী। মেয়ে বাড়ি ফিরলে তিনি ও পরিবারের সকলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন।





