সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- শ্রাবণ মাসে দলে দলে সকলেই সবুজ চুড়ি পরছেন। এখন এই সবুজ চুড়ি পরার রেওয়াজ টা কিন্তু ইদানিং কয়েক বছর যাবত হয়েছে, আমাদের ছোটোবেলায় এই জিনিসটা ছিল না। তাহলে সবুজ চুড়ির সঙ্গে কি মহাদেবের কোনও যোগ আছে? এই প্রসঙ্গে বৈদিক ও তান্ত্রিক পন্ডিত কৃষ্ণেন্দু সান্যাল বলেছেন “সবুজ চুড়ি পড়লে মহাদেব যে কৃপা করবেন, প্রথমত এটি বেদ, পুরান , স্মৃতি, তন্ত্র – অর্থাৎ সনাতনের কোন শাস্ত্র গ্রন্থে আপনি / আপনারা এটা পেয়েছেন??? প্রথমত আমরা জানি শ্রাবণ ও চৈত্র মাস হলো মহাদেবের মাস । সোমবার ও শুক্রবার হলো শিবের বার । শুক্লা যজুর্বেদ অনুযায়ী শ্রাবণ মাসে বাবার যে অভিষেক করা হয় তাকে বলা হয় রুদ্রাভিষেক। এবার আসি পুরাণে – মহাদেবের ব্যাপারে জানা যায় শিব পুরান থেকে। তারপরে যদি তন্ত্র শাস্ত্রে আসি এখানে প্রধান বক্তা হলেন সদা শিব। না – বেদ , না – পুরান, না – তন্ত্রশাস্ত্র কোথাও এই সবুজ চুড়ি পড়ার উল্লেখ নেই। তাহলে নিজের মনগড়া কাল্পনিক দুনিয়া দিয়ে শাস্ত্রের অবমাননা করা উচিত নয় ।
যে সমস্ত মানুষরা সনাতন শাস্ত্রের নাম দিয়ে এই সবুজ চুড়ি পড়তে বলছেন তাদের পতন অনিবার্য”
নব্য জ্যোতিষীদের মত প্রসঙ্গে তার বক্তব্য,“অনেকেই আজকাল নব্য জ্যোতিষীরা এই সবুজ চুড়ি পড়ার সঙ্গে বুধ গ্রহের তুলনা করছেন – তারা ভাবছেন সবুজ চুড়ি পড়লে নাকি মনোসংযোগ বাড়বে । একথা ঠিক যে বুধ গ্রহের রং হলো সবুজ এবং তার প্রতীক হলো বালক স্বভাব , শান্ত মূর্তি ও বুদ্ধিমত্তার পরিচালক।”
তিনি আরও বলেন,“আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে নারীদের (বিবাহিত / অবিবাহিত) হাতে লোহার নোয়া পড়ার কথা , কিন্তু তাই বলে সবুজ কাঁচের চুরি নয়। তাই সব শেষে একটাই কথা বলবো ভুল ভাল শাস্ত্র প্রচার না করে সঠিক সনাতন ধর্মকে মেনে চলুন , তবেই মহাদেবের আশীর্বাদ লাভ করবেন, যারা সবুজ চুড়ি পড়তে বলছেন , তাঁরা অবশ্যই সনাতন শাস্ত্র থেকে উপযুক্ত প্রমাণ দেবেন। হর হর মহাদেব।”





