সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– টানা বৃষ্টিতে ধসে পড়ল সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি। অল্পের জন্যে রক্ষা পেলেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে আসানসোলের রানিগঞ্জের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্তানগর গ্রামে।
জানা গেছে, পঞ্চায়েত সদস্য সৌমেন বাউরি তার স্ত্রী শকুন্তলা বাউরি ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বক্তানগর গ্রামে ঝরে কুলি বাউরি পাড়ায় মাটির বাড়িত বসবাস করেন। শনিবার রাতে হঠাৎ করেই বাড়ির চাল ও মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান পরিবারের সদস্যরা। দেওয়াল ধসে পড়ার শব্দ ও পরিবারের সকলের
চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের মানুষজন ছুটে যান এবং ভেঙে পড়া বাড়ির মধ্যে থাকা সকল সদস্যদের উদ্ধার করেন। এমনকি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে বাড়ির এক পাশে থাকা শৌচালয়টিও। ঘটনায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পরিবার। তাই তাদের কোন স্কুল বা ক্লাব ঘরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য থাকতে দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গেছে, ২০২০ সালে যখন সৌমেন বাউরি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন না তখনই তিনি ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ এলাকার অনেকেই আবাস প্রকল্পে বাড়ি পেলেও সৌমেন বাউরির পাকা বাড়ি হয়নি। সৌমেন জানান তিনি বাড়ির নকশা সহ বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র জমা দিলেও প্রকল্পের বাড়ি পাননি। তবে শুধু সৌমেন বাউড়ি নয় বক্তানগর গ্রামে এখনও বহু কাঁচা বাড়ির দেখা মেলে। যা থেকে বোঝা যায় গ্রামের অনেকেই ইন্দিরা আবাস প্রকল্পের বাড়ি পাননি।
এলাকার বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি,বারবার বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। শুধুমাত্র যে সব ব্যক্তিদের শাসক দলের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে, তাদের বাড়ি তৈরির জন্যই বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকৃতই যারা অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছেন তাদের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না।
অন্যদিকে এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের যেমন কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি, তেমনি রানিগঞ্জ ব্লক প্রশাসনেরও তরফেও বক্তব্য জানা যায় নি।





