রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩০ জুলাই তারিখটিকে বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্যই প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রবিবারে সারা আন্তজার্তিক বন্ধুত্ব দিবস পালন করা হয়। রবিবার সকালে আন্তজার্তিক বন্ধুত্ব দিবস উপলক্ষে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বাসিন্দা প্রায় ৬৫ বছর বয়সের নরেন গরাই শিল্পাঞ্চলের হটন রোড থেকে সাইকেলে করে অভিনব কায়দায় আজকের দিনটি পালন করলেন। তিনি এদিন সাইকেল করে আসানসোল শহর পরিক্রমা করেন। শহর পরিক্রমা করার সময় এসবি গরাই রোড সংলগ্ন জেলা হাসপাতালের সামনে অভিনয় কায়দায় দেখতে পাওয়া যায় নরেন বাবুকে। তার সাইকেলে রয়েছে দেশের জাতীয় পতাকা, আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসের স্টিকার, সাইকেলের পিছনে সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ স্টিকার।
প্রতি বছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববারে সারা বিশ্বজুড়ে বন্ধু দিবস পালন করা হয় । কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না বন্ধু দিবস কিভাবে এলো। ১৯৩৫ সাল থেকেই বন্ধু দিবস পালনের প্রথা চলে আসছে আমেরিকাতে। জানা যায় ১৯৩৫ সালে আমেরিকার সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্টের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। এরপরই জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুদের অবদান আর তাদের প্রতি সম্মান জানানোর লক্ষেই আমেরিকান কংগ্রেসে ১৯৩৫ সালে আগস্টের প্রথম রোববারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। আর বর্তমানে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বের বহু দেশেই।
বন্ধু, অর্থাৎ যারা জীবনের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী, জীবনের সংকট মুহুর্তি যারা ছুটে যান বন্ধুদের কাছে। আবার আনন্দ, উল্লাস কিংবা দিন শেষের অবসরেও যারা ভালোবাসেন বন্ধুত্বের কলতান শুনতে। আবার এই বন্ধুত্বের এই সম্পর্কের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় জীবন যাপনের ভিন্ন রস।
তাঁর এই অভিনব যাত্রা নিয়ে নরেন গড়াই বলেন, “সবার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক যেন বজায় থাকে। হানাহানি খুনাখুনি যাতে না হয়। সবাইকে একসাথে চলার চেষ্টা করার বার্তা দিতেই আমার এই অভিনব প্রচেষ্টা।”





