eaibanglai
Homeএই বাংলায়ডিজিটাল অ্যারেস্ট, ইস্কোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী খোয়ালেন ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা

ডিজিটাল অ্যারেস্ট, ইস্কোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী খোয়ালেন ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আবারও ডিজিটাল অ্যারেস্টের ঘটনা আসানসোলে। মুম্বই পুলিশ ও সিবিআইয়ের নামে ভয় দেখিয়ে বার্নপুরের বাসিন্দার ইস্কোর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর কাছ থেকে ১ কোটি ২৭ লক্ষ হাতিয়ে নিল সাইবার অপরাধীরা। সাইবার প্রতারণার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধরণের মধ্যে।

বার্নপুরের রবীন্দ্রনগরের ডলি লজ এলাকার বাসিন্দা প্রতারিত তপন কুমার মাজি জানান,গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে জনৈক রাহুল রায় ডিজিসিএর পরিচয়ে ফোন করে। তিনি জানান,মুম্বাইতে তপনবাবুর নামে একটি সিম ইস্যু করা হয়েছে। সেখানে তার আধার নম্বর ব্যবহার করে কানাড়া ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্ট থেকে ২,০০,০০,০০০ টাকার লেনদেন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে জানানো হয় ওই সিম ব্যবহার করে অবৈধভাবে ওই টাকা লেনদেন করা হয়েছে। ফলে তিনি অবৈধ কার্যকলাপ এবং বেআইনি ভাবে পাচারের অপরাধে অভিযুক্ত।

এরপরে, আবার একটি অজানা মোবাইল নম্বর থেকে তপনবাবুর হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও কল আসে। সেখানে বলা হয় এই কল মুম্বাই পুলিশ ও সিবিআই থেকে এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপে কল করা ওই ব্যক্তি তার মুম্বাই পুলিশ আইডি দেখিয়েছিলেন। এমনকি তিনি পুলিশের পোশাক পড়েছিলেন। তিনি জানান তপনবাবুর নামের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে যা সন্ত্রাসবাদীদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এর পরে, তিনি সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ডেবিট কার্ডের ছবি পাঠান। এরপর তাকে অর্থ পাচারের মামলায় ডিজিটালভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ পোশাকধারী ওই ব্যক্তি। এরপরে তপনবাবুর কাছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গ্রেফতারি পরোয়ানা, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের কিছু নথিও পাঠান হয়। এরপর ওই ব্যক্তি ভিডিও কলটি অন্য এক ব্যক্তিকে দেন। যাকে পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক হিসেবে দাবি করা হয়। ওই ব্যক্তিও পুলিশ পোশাকে ছিলেন। ওই ব্যক্তি তপনবাবুকে ৪ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত ডিজিটালভাবে গ্রেফতার করে রাখেন। ২৪ ঘন্টা ধরে হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের মাধ্যমে তার উপর নজর রাখা হয়। এরপর তাঁকে ভয় দেখিয়ে ১৩টি কিস্তিতে মোট ১,২৭,০৪,৩৩২ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। টাকা খুইয়ে তপনবাবু বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তখন গোটা ঘটনাটি জানিয়ে আসানসোল সাইবার থানার দ্বারস্থ হন ও অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএসের ৩০৮ (৬), ৩১৬ (২), ৩১৮ (৪), ৩১৯ (২), ৩৩৬ (৩), ৩৩৮, ৩৪০ (২), ৬১ (২) নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে। শুরু করা হয়েছে তদন্ত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments