eaibanglai
Homeএই বাংলায়কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন এনআইটি দুর্গাপুরের পড়ুয়ারা

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ালেন এনআইটি দুর্গাপুরের পড়ুয়ারা

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জডালেন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা।

প্রসঙ্গত শুক্রবার দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে বিকশিত ভারত এবং আত্মনির্ভর ভারত নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আত্মনির্ভর ভারত এবং বিকশিত ভারত নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি মত বিনিময় করেন মন্ত্রী। জানতে চান পড়ুয়াদের মতামত ও এই বিষয়ে তাদের সমাধান। সেই সময়ই এক পড়ুয়া মন্ত্রীকে প্রশ্ন করে বসেন,”ভারতবর্ষের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কোথায়? রাজস্থানে ছাদ ভেঙে সাত পড়ুয়ার মৃত্যুর উত্তর কোথায়?” আরেক পড়ুয়া প্রশ্ন তোলেন জাতি সংরক্ষণ নিয়ে।

এভাবে পড়ুয়াদের পরে পর প্রশ্নবাণে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েন মন্ত্রী। কিছুটা যেন মেজাজও হারান। তিনি পাল্টা তাদের বলেন, পড়ুয়াদের কাছ থেকে তিনি সমাধান জানতে চেয়েছেন, প্রশ্ন নয়। যদিও দুই পড়ুয়াই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সাথে কার্যত তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

পরে আয়ুস বেনুয়া নামের ওই পড়ুয়া বলেন,”ভারতবর্ষের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। রাজস্থানের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই বিষয়ে আমি প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু কোন উত্তর পাইনি। উল্টে প্রতিমন্ত্রী রেগে গেলেন। আমার কাছ থেকে মাইক কেড়ে নিলেন ডাইরেক্টর স্যার।” যদিও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার বলেন,”আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার মৌলিক অধিকার কোথায় হরণ করা হয়েছে? সে তো কিছুই বলতে পারল না। কেউ বানিয়ে পাঠিয়েছে হয়তো। জাতিসংরক্ষণ বিষয় সাংবিধানিক ব্যাপার। কেউ মাইক লাগিয়ে বললে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে।”

অন্যদিকে মন্ত্রী-পড়ুয়া বিতর্কি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন,”উনি বলছেন কোন রাজনৈতিক দল পাঠিয়েছে। যে পড়ুয়া প্রশ্ন তুলেছিল সেই পড়ুয়া তো বিজেপি শাসিত রাজ্যের। আসলে সঠিক অধিকার ভারতবর্ষের মানুষ পাচ্ছে না তারই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মন্ত্রীর সামনে করেছে। তাতে রেগে যাওয়ার কিছু নেই। মানুষই ভোট দিয়ে সাংসদ করেছেন ওনাকে। মানুষের কথা না শুনলে ওনার পদ যাবে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments