জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান -: মাঝে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। শুরু হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। শুধু এদেশে নয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালিরা মেতে উঠবেন এই উৎসবে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও এই উৎসবে যোগ দেন। শুধু আনন্দ নয়, এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে বিপুল পরিমাণ অর্থনীতি যা এই রাজ্যের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্য সরকার ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে সরকারি অনুদান দেওয়া শুরু করে। শুরুটা হয়েছিল ১০ হাজার টাকা দিয়ে এবং এইবছর তার পরিমাণ হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এলাকায় কোন কোন পুজো কমিটি অনুদান পাবে সেগুলি ঠিক করার ক্ষেত্রে স্থানীয় থানাগুলি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তেমনি অনুদানের চেক বিলি তাদের হাত ধরেই হয়।
পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থানার উদ্যোগে আউসগ্রাম-১ নং সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কার্যালয়ের মিটিং হলে একটি ছোট্ট সমন্বয় সভা ও চেক বিলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে থানার শতাধিক পুজো কমিটির হাতে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে সরকারি অনুদানের ‘চেক’ তুলে দেওয়া হয়।
চেকগুলি তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, আউসগ্রাম-১ নং সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কামরল ইসলাম ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস চ্যাটার্জ্জী, ডিএসপি (ডি এণ্ড টি) সুব্রত মণ্ডল, সিআই বরুণ ঘোষ, আউসগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকারী, গুসকরা ও ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি, গুসকরা ট্রাফিক গার্ডের ওসি, অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের আধিকারিক এবং গুসকরা পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ অন্যান্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি বিশ্বনাথ দাস।
এর আগে বিধায়ক থেকে শুরু করে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা পুজোর আনন্দ যাতে নিরানন্দে পরিণত নাহয় সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য প্রত্যেক পুজো কমিটিকে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। যেসব জায়গায় ভিড় বেশি হয় সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য অনুরোধ করেন এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সারারাত ধরে স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথা বলেন। পাশাপাশি যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুজো যাতে প্রকৃত অর্থে আনন্দ উৎসবের রূপ ধারণ তারজন্য প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হয়।





