নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়াঃ “খেজুর গাছে হাড়ি বাঁধো মন ” জনপ্রিয় এই গান আজ অতীত। এখন আর খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধার রীতি তেমন চোখে পড়ে না, পড়লেও তা আগের তুলনায় কমেছে। ক্রমে অস্তিত্ব হারাচ্ছে মাটির হাড়িও। কারণ মাটির পরিবর্তে প্লাস্টিকের কলসিই ব্যবহার করা হচ্ছে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য। আজ থেকে বছর খানেক আগেও বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহের কাজে হাড়ি টাঙানোর রীতি চোখে পড়ত। কিন্তু সময় বদলেছে, গাছে গাছে এখন প্লাস্টিকের কলসির রমরমা। এব্যাপারে বাঁকুড়ার হাউসিবাদের কাছে এক খেজুর গুড়ের আখড়াতে গিয়ে সেখানকার গুড় প্রস্তুতকারী জৈনক ইন্দপুরনিবাসী একজনের কাছে প্রশ্ন করা হলে জানান মাটির হাড়িতে রস অনেক সময়ই চুইয়ে পড়ে আবার কেউ কেউ মজার ছলে পাথরের টুকরো ছুঁড়ে কলসি ভেঙে দেয়। যদিও এটাই মাটির হাঁড়ির ক্রমশ ব্রাত্য হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ নয়। একদিকে প্রশাসনিক তরফে যখন প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে তখন প্লাস্টিকের কলসি ব্যবহার করে রস সংগ্রহের কাজ। মানুষের শরীরের জন্য প্লাস্টিক যথেষ্ট ক্ষতিকর। একদিকে ঐতিহ্য আর অন্যদিকে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে শীঘ্রই এব্যাপারে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। নাহলে অচিরেই গ্রাম-বাংলার খেজুর রস সংগ্রহের চিরাচরিত প্রথা থেকে মুছে যাবে মাটির কলসি।