রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো দুর্গোৎসব। এর জনপ্রিয়তা রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গেছে। জাতপাত ও ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিভেদের প্রাচীর দূর করে এই উৎসব এক ছাদের নীচে মানুষকে নিয়ে আসে। উৎসবকে অন্য মাত্রা দেওয়ার লক্ষ্যে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের সেরা পুজোগুলির স্রষ্টাদের সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতাকে উৎসাহিত তথা অনুপ্রাণিত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর ২০১৩ সাল থেকে ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পুরস্কার’ চালু করে।
গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পুরস্কার -২০২৫’ ঘোষণা করা হয়। সবদিক দিয়ে বিচার করে সেরা পুজো, সেরা প্রতিমা, সেরা মন্ডপ ও সেরা সমাজ সচেতনতা – এই চারটি বিভাগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমার মোট ১২ টি দুর্গাপুজো কমিটিকে সেরার পুরষ্কার দেওয়া হয়। মহা পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক অনুষ্ঠানে এই ১২ টি পুজো কমিটির সদস্যদের হাতে রাজ্য সরকারের শারদ সম্মাননা তুলে দেন জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল ও শুভাষীনি ই সহ আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। বিচারকদের বিচারে জেলার সেরা পুজোর সম্মান পেয়েছে আসানসোলের আপকার গার্ডেন দুর্গাপুজো কমিটি, দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ পুজো কমিটি ও শঙ্করপুর সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি। জেলার সেরা প্রতিমা হয়েছে আসানসোলের রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতি, কল্যাণপুর আদি পুজো ও রাধানগর রোড এ্যাথলেটিক ক্লাব। সেরা মন্ডপের সম্মান পেয়েছে দুর্গাপুরের অগ্রণী সংস্কৃতি পরিষদ, ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি ও নবারুণ ক্লাব। পুজোর সময় বিভিন্ন প্যাণ্ডেলে সাধারণ মানুষের ভিড় হয় প্রচুর। ফলে পুজোকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে সহজেই সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি করার একটা সুযোগ থাকে। এইক্ষেত্রে জেলার মধ্যে সেরার সম্মান পেয়েছে চিত্তরঞ্জন এরিয়া-৬ সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি, বার্ণপুরের নেতাজী স্পোর্টিং ক্লাব ও দুর্গাপুরের মার্কনী দক্ষিণপল্লী দুর্গাপুজো কমিটি। জেলাশাসক এস পোন্নাবলম বলেন, পুজো কমিটির সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করে যেভাবে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তাতে কোনো প্রশংসায় যথেষ্ট নয়। তারপরও তাদের এই কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সম্মানিত করা হয়েছে।





