সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতেই শুরু হয় মা দুর্গার আরাধনা। মা দুর্গা সপরিবারে, সন্তানদের নিয়ে পিতৃগৃহে আসেন এ দিন। ভোর থেকে শুরু হয় নবপত্রিকা স্নান করানোর পালা। নবপত্রিকা হলেন গণেশজননী দুর্গা। ন’টি উদ্ভিদের সমাহার। সেগুলি হল, কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি উদ্ভিদ বাঁধা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় এক জোড়া বেল। সাদা অপরাজিতা লতা দিয়ে বাঁধার পরে লালপাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে বধূ বেশে সাজানো হয়। সাধারণত দেবী প্রতিমার ডান দিকে ঠাঁই পান নবপত্রিকা। নবপত্রিকা স্নানের পরে দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। মৃন্ময়ী দেবী হয়ে ওঠেন চিন্ময়ী।
বাঁকুড়া শহর ও আশপাশের একাধিক পুজো কমিটি কলা বউকে পালকিতে নিয়ে এদিন পৌঁছয় নদীঘাটে। সঙ্গে বাজতে থাকে ঢাক, কাঁসর, শঙ্খ ও নানা বাদ্যযন্ত্র। নদীর ঘাটে ভিড় জমে যায় দর্শক ও ভক্তদের। বাঁকুড়া শহরের মাঝ বরাবর বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর সতী ঘাটে সপ্তমীর সকাল থেকেই জমে উঠেছে ভক্তিমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ।





