সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বছরের অন্য দিনগুলিতে নিরাপত্তার কারণে ওরা হোম থেকে বেরোতে পারেনে। কড়া অনুশাসন ও অন্যান্য দিন চর্চায় পাঁচিল আর চার দেওয়ালের মাঝেই কেটে যায় দিনগুলো। কিন্তু ষষ্ঠীর দিনটা ছিল একেবারে অন্যরকম। চার দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত হৈ হৈ করে ঠাকুর দেখল ওরা সবাই। ওরা মানে আসানসোল ইসমাইলের “স্ব-শক্তি শক্তি সদন” র ( হোম ফর ওরফ্যান এন্ড ডিসট্রেস ওম্যাম) মামনি, রুপা, মেহেরুনা, আয়েশা, শামীমা, আশা টুডু, সুস্মিতা সরকার, বাহামণি, শামিমা, বর্ণালীরা। এদিন মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়ালো শহরের এক প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে। বছরের বাকি দিনগুলোর সব আনন্দও যেন পুষিয়ে নিল দুর্গাপুজোকে ঘিরে।
এদিন হোমের ৩০ জন আবাসিকা পূজা পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করেছি। আর এই ঠাকুর দেখার ব্যবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে এই সবকিছুর পরিকল্পনায় ছিলেন আসানসোল ইস্টার্ন রেলওয়ে বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র। যিনি গত ১০ বছর ধরে এই হোমের আবাসিক মেয়েদেরকে নিয়ে আসানসোল ও বার্নপুরে পূজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করে আসছেন। তার সঙ্গে থাকেন হোমের সুপারভাইজাররা। এবারেও ছিলেন হোমের সুপারভাইজার সেরিনা মন্ডল ।
মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখার মাঝে ছিল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। যার ব্যবস্থা করেছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস, আসানসোল রেল স্কুলের শিক্ষিকা রুমা মিশ্র ও প্রাক্তন কাউন্সিলর মিলন মন্ডল। সব শেষে বিশ্বনাথ মিত্র বলেন, “মায়ের কাছে প্রার্থনা করি, যেন প্রতি বছর, সবার সাহায্য নিয়ে এই অসহায় মেয়েগুলোকে অন্তত বছরে একদিন পুজোর আনন্দ দিয়ে যেতে পারি।”





