eaibanglai
Homeএই বাংলায়প্যারা জাতীয় যোগাসন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বাঁকুড়ার প্রতিযোগীরা

প্যারা জাতীয় যোগাসন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন বাঁকুড়ার প্রতিযোগীরা

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, বাঁকুড়া -: বর্তমানে শিশুদের একাংশ জন্মের সময় সুগার, থাইরয়েড, ব্লাড প্রেসার, ক্লোস্টেরল, ওবেসিটি ইত্যাদি সঙ্গে নিয়েই পৃথিবীতে আসছে। ওষুধের নাম উঠছে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায়। সুস্থভাবে বাঁচার তাগিদে মানুষ খুঁজতে শুরু করেছে বিকল্প পথ। তখনই মানুষের সামনে হাজির হয়েছে ‘যোগা’ বা ‘ইয়োগা’। প্রাচীন যুগ থেকেই ‘যোগা’-র হাত ধরেই ভারতের মুনি-ঋষিরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের সুস্থ রেখেছিলেন।

‘যোগা’ অভ্যাস হল দেহ, মন ও আত্মাকে যুক্ত করে সুস্থ থাকার এক প্রাচীন পদ্ধতি। এটা শুধু ব্যায়াম নয়, এর আসল অর্থ হল চেতনা। এর সাধারণ অর্থ ‘মিলন’। যোগা দেহ, মন ও শক্তি- এই তিনটির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে, মিলন ঘটায়। নিয়মিত যোগচর্চার মাধ্যমে অসুস্থ শরীর সুস্থ হয়ে ওঠে। সুস্থ শরীর আরও সতেজ হয় এবং চঞ্চল ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ মন শান্ত হতে থাকে। এই সব সুফলের দিকে লক্ষ্য রেখে ভারত সরকারের ‘যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক’ এর অধীনে গড়ে উঠেছে ‘যোগাসন ভারত’ যার লক্ষ্য সবার মধ্যে যোগাসন সম্পর্কে প্রচার করা ও উৎসাহিত করা। ‘যোগাসন ভারত’ এর পরিচালনায় ২৬ থেকে ২৮ শে সেপ্টেম্বর দিল্লির মোরারজি দেশাই জাতীয় যোগ ইনস্টিটিউটে প্রথম বারের জন্য আয়োজিত হয় ‘প্যারা জাতীয় যোগাসন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি ‘অল বেঙ্গল যোগাসানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’ -এর ১৪ জন সদস্য এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ‘অল বাঁকুড়া যোগাসন স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’ এর মাধ্যমে জেলার তিন জন এই প্রতিযোগিতায় সুযোগ পান। এরা হলেন – সোনামুখী ‘ক্লাব প্যারাডাইস’-এর সায়ন সাহা, কোতুলপুর ‘বিবেকানন্দ ক্লাব’-এর অঙ্কিতা মুখার্জ্জী এবং সোনামুখী কোচডিহি হাই স্কুলের শিক্ষক দেব কুমার দাস। এই তিন জনই বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্ন। বাংলার পুরুষ দলের কোচের দায়িত্ব পান বিষ্ণুপুর উত্তর চক্র সম্পদ কেন্দ্রের স্পেশাল এডুকেটর বিমল কারক। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এই প্রতিযোগিতায় পুরুষদের কুড়ি বছরের নীচে ওএইচ-বি বিভাগে সায়ান সাহা এবং মহিলাদের কুড়ি বছরের নীচে ওএইচ-এ বিভাগে অঙ্কিতা মুখার্জ্জী স্বর্ণ পদক লাভ করেন এবং বাঁকুড়া তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ উজ্জ্বল করেন। পদক না পেলেও দেব কুমার বাবুর প্রচেষ্টা উপস্থিত বিচারকদের মুগ্ধ করে। এই সুখবর দিয়ে ‘অল বাঁকুড়া যোগাসনা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’ এর সম্পাদক দীপ্তম্বর হালদার বললেন, শুধু বাঁকুড়ার জন্য নয় সমস্ত রাজ্যের জন্য এটি খুশির খবর। আশাকরি এরপর থেকে অভিভাবকরা তাদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানদের নিয়ে হতাশ হবেননা, নিয়মিত তাদের যোগা অনুশীলন করাবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments