নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুর ও আসানসোলঃ- বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। আর এই ভারী বৃষ্টির জেরে দামোদর নদের জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একধাক্কায় অনেকটাই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি। যার জেরে একাধিক জেলায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নবমী অর্থাৎ বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দুর্গাপুরের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। দশমী অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি, যা লাগাতার চলে শুক্রবার সকালেও। এদিকে, একই অবস্থা পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও। সেখানেও লাগাতার বৃষ্টির জেরে দামোদরে জলের স্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জেরে তেনুঘাট, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ও শুক্রবার সকালে অনেকটাই বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার পর থেকে মাইথন ও পাঞ্চেত ৩২ হাজার ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিলো। এদিন সকাল আটটা থেকে মাইথন থেকে জল পরিমাণ ১০ হাজার কিউসেক বাড়িয়ে ৪২ হাজার ৫০০ কিউসেক করা হয়েছে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৫ হাজার কমিয়ে ২৭ হাজার ৫০০ কিউসেক করা হয়েছে। একই কারণে দুর্গাপুর জলাধার থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে । শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকে ৫৯ হাজার ৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। ব্যারেজের পাশাপাশি দুটি ক্যানেলেও ছাড়া হয়েছে জল। তারমধ্যে একটা থেকে ১৫০০ হাজার ও অন্যটা থেকে ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বৃষ্টি যদি আরও জোরদার হয়, তবে জল ছাড়ার পরিমাণও বাড়তে পারে। আর সেই সঙ্গে নদী লাগোয়া নিম্নাঞ্চলে জল ঢোকার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে ডিভিআরআরসিকে জল ছাড়ার পরিমাণ আর না বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে ডিভিআরআরসি তরফে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে তেনুঘাট, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াতেই হবে।





