নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ মাননীয় সুপ্রিমকোর্ট পরকীয়াকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে। কিন্তু সেই বৈধ পরকীয়া সুখী পরিবারে কাছে অভিশাপের দূত হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক দিন ধরে জানতেন স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া বলার কিছু নাই। আর প্রমাণ তো চোখের সামনে, স্বামীর পরকীয়া নিজের চোখে দেখে ফেলায় ঘটে যায় বিপত্তি । প্রতিবাদ করতে এগিয়ে যায় স্ত্রী। এরপর স্বামীর দিক থেকে উড়ে আসে কিল চড় ঘুষি। তাতে বেশ আহত হন ওই মহিলা। ঘটনা দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল চত্বরের। ঘটনা সূত্রে, স্বামী ,স্ত্রী ও সন্তান দের নিয়ে সুখের সংসার ক্যানিং তালদি বাস মোড়ের ওই বাসিন্দার। ক্যানিং তালদি থেকে বারুইপুর রুটে অটো চালিয়ে পরিবারের সাথে সুখে জীবনযাপন করতেন তালদির বাসিন্দা জাকির হোসেন মোল্লা(৪৫)। কিন্তু সেই সুখি পরিবারে অভিশাপের দূত হয়ে এসেছে তালদি গোবিন্দ নগরের এক বিবাহিত মহিলা। মহিলার নাম কবিতা(৩৫)। স্ত্রী জাভেদা বিবির অভিযোগ, এক বছর সংসারের কোনো অর্থ দেয় না স্বামী । যা আয় করেন তা ওই মহিলার পিছনে ব্যয় করেন। ফলে সংসারে চাপে অভাবের বোঝা। বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তিও রয়েছে ওই দম্পতির। জাভেদা বিবির অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে যায় তার স্বামী। সঙ্গে ওই মহিলাও ছিল। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে বচসা শুরু হলে জাকির হোসেন তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি চড়, ঘুসি মারতে থাকে বলে অভিযোগ। তাদের এই অবস্থা দেখে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। আহত কবিতা দেবীকে উদ্ধার করে।