eaibanglai
Homeএই বাংলায়টলি তারকা শুভশ্রীর উপস্থিতিতে জমে উঠল আসানসোলের পুজো কার্নিভাল

টলি তারকা শুভশ্রীর উপস্থিতিতে জমে উঠল আসানসোলের পুজো কার্নিভাল

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী: আসানসোল:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর অনুপ্রেরণায় কলকাতা শহর ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুজো কার্নিভাল। এরফলে বাঙালির মনে সৃষ্টি হয়েছে অন্য অনুভূতি। পুজোর তাৎপর্য অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। সেই তাৎপর্য এবারও বজায় রাখল শিল্পশহর আসানসোল। পৌরনিগম এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ৪ ঠা অক্টোবর আসানসোলের বুকে তৃতীয়বারের জন্য আয়োজিত হলো দুর্গাপুজো কার্নিভাল। বার্ণপুর রোডের পুলিশ লাইনে আয়োজিত এই কার্নিভালে এলাকার মোট ১৫ টি দুর্গাপুজো কমিটি অংশগ্রহণ করে।

কার্নিভালের শুরুতে একটি ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন শিল্পীদের পরিবেশিত শঙ্খ বাজানো, ঢাক বাজানো, আদিবাসী নৃত্য, ছৌ নৃত্য ইত্যাদি দর্শকদের মুগ্ধ করে।

এই কার্নিভালের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, এডিপিসির পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী, জামুড়িয়া বিধায়ক হরেরাম সিং, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমল হক, এমআইএমসি গুরুদাস চ্যাটার্জী, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, পৌর নিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী প্রমুখ। ছিলেন আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা শাসক সঞ্জয় পাল ও অতিরিক্ত জেলা শাসক শুভাষীনি ই, মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এবং পৌরনিগমের

সমস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা ও অন্যান্য বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি ও তার ট্রুপের নৃত্যানুষ্ঠান। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেটা সম্ভব হয় নি। তবে তিনি মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

কার্নিভালের বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সৌমাত্বানন্দজী মহারাজ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী সুশান্ত রায় ও আসানসোল সেন্ট প্যাট্রিক্স স্কুলের প্রিন্সিপাল।

এই কার্নিভাল উপভোগ করার জন্য বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে কার্নিভালকে কেন্দ্র করে কোনোরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। দর্শকদের বসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয় এবং বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য ছিলো সেড। নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিলো বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স ও বিশেষ বাহিনী।

তবে কার্নিভাল চলাকালীন একশ্রেণির ইউটিউবারদের দৌরাত্ম্যে সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়। তার সাথে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয় সাংবাদিকের। তাদের প্রশ্ন, যদি ইউটিউবারদের এইভাবে অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো কি খুব দরকার ছিল? এটা নিয়ে অবশ্যই প্রশাসনের চিন্তাভাবনা করা খুবই প্রয়োজন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments