নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- নৃত্যাবৃত্তি বাতায়নের উদ্যোগে দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ,দক্ষিণী ঘরানার অতীব প্রাচীন,ঐতিহ্য মন্ডিত, শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসব “আরেঙ্গিআট্টম উৎসব এবং বাল কলাকার উৎসব ২০২৫”। আগামীকাল শনিবার দুর্গাপুর তথ্য কেন্দ্রের প্রেক্ষাগৃহে বিকেলে (সাড়ে চার ঘটিকায়) অনুষ্ঠিত হবে এই বিশেষ শাস্ত্রীয় নৃত্য উৎসবটি।
এই উৎসব মূলত শাস্ত্রীয় নৃত্য সঙ্গীত,গুরুকূল প্রথা সম্বলিত অতীব প্রাচীন, ভারতীয় ঐতিহ্যের একটি প্রথা। প্রসঙ্গত, প্রাচীন কালে মন্দিরে মন্দিরে প্রধান পুরোহিত এবং নৃত্য ও সঙ্গীত গুরুর নির্দেশে,পরিবারের শ্রদ্ধেয় গুরুজন,পরিবারের সদস্যদের তথা পিতা মাতার সমুজ্জ্বল উপস্থিতি এবং আশীর্বাদ নিয়ে মহাসমারোহে ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হত। যা আজও দক্ষিণী ঘরানায় নৃত্যসংস্থা গুলির উদ্যোগে দক্ষিণভারতের মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়।
নৃত্যাবৃত্তি বাতায়নের কর্ণধার, মাননীয় নৃত্য গুরু তথা শাস্ত্রীয় নৃত্য শিল্পী কলামণ্ডলম স্বর্ণদীপা মহান্ত, আন্তর্জাতিক নৃত্য সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান কেরালা কলামণ্ডলমে প্রখ্যাত গুরুদের নিকট দীর্ঘ্য বারো বৎসর তালিম প্রাপ্ত। তাই নৃত্যাবৃত্তি বাতায়ন, দক্ষিণী ঘরানার গুরুকূল প্রথাকে অনুসরণ করেই, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর, এই উৎসবের আয়োজন কোরে আসছে, বিগত ২৫ বছর ধরে।
যে সব শাস্ত্রীয় নৃত্য শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ্য দশ থেকে বারো বছর ,নিরলস নিষ্ঠার সাথে নৃত্য গুরু কলামণ্ডলম স্বর্ণদীপার নিকট তালিম নিয়ে, সুযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন তারা এই উৎসব মঞ্চে শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশনার সুযোগ পাবেন এবং একজন শাস্ত্রীয় নৃত্য শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হবেন। আর এই স্বীকৃতির জন্য নৃত্য শিক্ষার্থীরা বিগত তিন মাস নিরামিষ ভোজন এবং সংযম পালন করেছেন। এরপর শুভক্ষণ, তিথি, নক্ষত্র দেখে স্বয়ং নটরাজকে স্মরণ করে, গুরুর আশীর্বাদ নিয়ে, শিক্ষার্থীরা নূতন নৃত্য উপযোগী পোশাক এবং অলংকার ,গুরুর করকমল থেকে গ্রহণ করেন। ফল মিষ্টানো সহযোগে গুরু দক্ষিণা প্রদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীর পুণ্য লগ্নে।
নৃত্যাবৃত্তি বাতায়ন অ্যাকাডেমিতে এই বৎসর যে সব শাস্ত্রীয় নৃত্য শিক্ষার্থীরা সুযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন অহনা গঙ্গোপাধ্যায়, অনুষা সিনহা, রূপসা বিশ্বাস, রিয়ানঙ্কসিকা নায়েক, শত্রাক্ষী ঘোষ ও সম্পূর্ণা পান্ডে।





