নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন “যে কাজ মুখ্যমন্ত্রীর করার কথা ছিল, আমি আজ দুর্গাপুরের সেই কাজ করতে এলাম । মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব চার্টার্ড বিমান রয়েছে, হেলিকপ্টার রয়েছে। তিনি উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে নির্যাতিতা মেয়েটির সাথে এবং তার যারা চিকিৎসা করছেন সেই চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে যেতেই পারতেন। তিনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আবার তিনিই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সুতরাং তাঁর যে দায়িত্ব ছিল এই ক্ষেত্রে তিনি তা পালন করেননি বলেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আসতে হল।” পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “আমরা ওড়িশার একজন মেয়েকে এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারিনি। আমরা লজ্জিত। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন এবং ছাত্রীর ভবিষ্যতের ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।” অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বস্ত করে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। এছাড়া তিনি জলেশ্বরে নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে এক পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে কলজ ক্যাম্পাসের বাইরে খাবার খেতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। যা নিয়ে তোলপার পড়ে যায় রাজ্য তথা সারা দেশ জুড়ে। পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে দুর্গাপুরের বিজরার বাসিন্দা শেখ রিয়াজউদ্দিন, ফিরদৌস শেখ ও বিজরা বাউড়ি পাড়ার অপু বাউড়িকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে পেশ করে পুলিশ। রাতভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে শেখ নাজিরুদ্দিন নগর নিগমের অস্থায়ী কর্মী। অন্যজন শেখ সফিকুল। এরাও দুর্গাপুরের বিজরা এলাকারই বাসিন্দা। এদের মধ্যে শেখ সফিকুলকে মূল অভিযুক্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সোমবার দুই ধৃতকেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।





