সন্তোষ কুমার মণ্ডল, দুর্গাপুরঃ- দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর গণধর্ষণকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পাঁচ অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন পরাণগঞ্জ কালীবাড়ি জঙ্গলে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ( পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা নেতৃত্বে উপস্থিত ছিল নিউ টাউনশিপ থানা ও দুর্গাপুর থানার পুলিশের একটি দল। এছাড়াও ধৃতদের মধ্যে শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ নাসিরুদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় বিজড়া গ্রামে তাদের বাড়িতে। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুজনের পোশাক। জানা গেছে ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে ওই পোশাক পরে ছিলেন অভিযুক্তরা। পোশাকগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। এদিন দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, পাঁচজন অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তার সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুনর্নির্মাণের ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাতে পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন শোভাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তড়িঘড়ি তদন্তে নামে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ এবং ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ জনকেই গ্রেফতার করে। ধৃতরা সকলেই দুর্গাপুরের বিজড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃতদের মধ্যে একজন ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী ৷ অন্যজন বর্তমানে একটি হাসপাতালে কর্মরত ৷ আরও এক অভিযুক্ত স্থানীয় পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী এবং অন্যজন বেকার। আরেজকনের ব্যাপারে পুলিশের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই।
অন্য দিকে, মঙ্গলবারই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে নির্যাতিতা তরুণী। তবে নির্যাতিতা শারীরিকভাবে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না তা নিয়ে পরিবার বা পুলিশ সূত্রে কিছুই জানানো হয়নি ৷





