সৌরভ দত্তঃ- প্রেমিক বা এমন কি পুরুষ বন্ধুর সাথেও যৌনতার অধিকার একটি মেয়ের আছে, বিয়ের কমিটমেন্ট থাকলেও আছে আর না থাকলেও আছে- ছেলেটি স্বধর্মের হলেও আছে আর না হলেও আছে।
একইরকমভাবে, প্রেমিকার বা এমনকি নারী বন্ধুর সাথে যৌনতার অধিকার একটি ছেলের আছে, বিয়ের কমিটমেন্ট থাকলেও আছে আর না থাকলেও আছে- মেয়েটি স্বধর্মের হলেও আছে আর না হলেও আছে।
এমনকি স্বামী-স্ত্রী নয়, এমন দুজন বিবাহিত বা একজন বিবাহিত ও অন্যজন অবিবাহিত/ ডিভোর্সি/ বিধবা/মৃতদার ব্যক্তিরও দুজনের ইচ্ছেয় যৌনতার অধিকার আছে। এটা মেনে না নিয়ে বড় জোর বিবাহিত ব্যক্তির spouse ডিভোর্স চাইতে পারে – এবং চাইলে তা পাবেও। কিন্তু এটা ক্রিমিনাল অফেন্স নয় – তার বিবাহিত স্ত্রী বা স্বামীর প্রতি সিভিল অফেন্স মাত্র।
তাই কন্সেন্সুয়াল সেক্স আড়ি পেতে দেখা অন্যায়।
আর, তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করা আরও অন্যায়।
তারপরে, সেই ব্ল্যাকমেইলিং-এর সূত্র ধরে মেয়েটিকে যৌন হেনস্থা করা আরও বড় অন্যায়- ধর্ষণ করা তো চূড়ান্ত অন্যায়!
প্রেমিক-প্রেমিকা বা বন্ধু-বান্ধবী কন্সেন্সুয়াল সেক্স করলে তাতে তৃতীয় কারোর ক্রিমিনাল মানসিকতা নিয়ে নাক গলানো বেআইনি, যারা এমন নাক গলায়, তাদের রাস্তায় নগ্ন করে কেলিয়ে থামায় জমা করা উচিৎ!
আমাদের দেশের আইনে এখনো পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে যৌনতা বেআইনি- ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যে এই আইন বদলানো দরকার- আমাদের আর্থসামাজিক যা অবস্থা তাতে অর্থের বিনিময়ে যৌনতাকে কন্সেন্সুয়াল সেক্স হিসেবেই দেখতে হবে – যদি না তাতে কোনো জোরাজুরি বা ব্ল্যাকমেলিং-এর ব্যাপার থাকে।
কিন্তু যতদিন না তা আইনি হচ্ছে, ততদিন অর্থের বিনিময়ে যৌনতা ছাড়া অন্য যেকোনো কন্সেন্সুয়াল সেক্সের ক্ষেত্রে spouse ছাড়া কোনো তৃতীয় ব্যক্তির নাক গলানো বেআইনি। আর spouse-এরও নাক গলানোর অধিকার বলতে অন্য কোনো অসভ্যতামির অধিকার নয়, পরিষ্কার আইনের আশ্রয় নিয়ে ডিভোর্স চাওয়ার অধিকার এবং সেই ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে সন্তান এবং সম্পত্তির অধিকারের ব্যাপারে আইনি ফয়সালা করে নেওয়ার অধিকারই আইনে গ্রাহ্য।
সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদের আইন আনা থেকে শুরু করে বিবাহিত নারীর জীবনের ব্যাপারে ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে আসা সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ আইনি ব্যাখ্যা এদেশের প্রেক্ষিতে ক্রমশ সামাজিক উত্তরণ – কোনো জানোয়ার অপু বাউরি বা শেখ নাসিরউদ্দিনের অধিকার নেই এর উল্টো অভিমত মোতাবেক চিন্তাটুকু করারও (অ্যাকশন নেওয়া তো দূরের কথা!), অধিকার নেই কোনো মৌলবীর, অধিকার নেই কোনো মৌ-লোভীর, অধিকার নেই হিন্দু মহাসভার, অধিকার নেই কোনো ক্যাথলিক ফাদার বা প্রোটেস্ট্যান্ট ব্রাদারের!
ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্কের নৈতিকতা নিয়ে আমার মনোভাব সময়ের সাথে সাথে অনেকটা বদলেছে – কিন্তু অতীত থেকে এখনও পর্যন্ত কখনও আমি কোনো ধরনের কোনো কন্সেন্সুয়াল সেক্সের বিরুদ্ধে কোনো ক্রাইমকে ক্ষমার চোখে দেখিনি – আমার মনে কখনও হয়নি যে “শালাদের পিছনে লেগে বেশ করেছে”!কন্সেন্সুয়াল সেক্স-এর বিরুদ্ধে কোনো ক্রাইম সভ্য সমাজ মানতে পারে না!





