নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– সূর্য দেবতার আরাধনায় মগ্ন দুর্গাপুর শিল্পনগরী। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে চার দিন ধরে পালিত হয় সূর্য দেবের আরাধনা অর্থাৎ ছট পুজো। এ বছর ছট পুজো শুরু হয়েছে গতকাল ২৫ অক্টোবর – শনিবার থেকে। এই উৎসবে মূলত সূর্য দেবতা এবং তাঁর পত্নী উষা দেবীর আরাধনা করা হয়। শনিবার- কার্তিক মাসের শুক্ল চতুর্থীতে পবিত্র স্নান ও সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ পর্ব সারা হয়। রবিবার পঞ্চমীতে খরনা। এদিন দিনভর নির্জলা উপবাস এবং সন্ধ্যায় প্রসাদ গ্রহণ করে ৩৬ ঘণ্টার কঠিন ব্রত শুরু করা হবে। সোমবার ষষ্ঠী তিথিতে দেওয়া হবে সন্ধ্যা অর্ঘ্য। এদিন বিকেলে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হবে। সপ্তমীতে মঙ্গলবার ভোরে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে ব্রত ভঙ্গ করা হবে।
এই পুজো মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে পালিত হলেও পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষেরাও শ্রদ্ধাভরে পালন করেন এই পুজো বা উৎসব। বিশ্বাস করা হয়, সূর্যদেবই জীবনের শক্তি, আলো ও সুস্বাস্থ্যের দাতা। তাই ছট ব্রতীরা নির্জলা উপবাস করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় অর্ঘ্য নিবেদন করেন। এই উপাসনায় কোনো মূর্তি বা প্রতিমা থাকে না, থাকে প্রাকৃতিক উপাদান নদীর বা জলাশয়ের জল, সূর্যের আলো ও ফলমূল। পুজো চলাকালীন চার দিন ধরে ব্রতীরা শুদ্ধতা, সংযম ও নিষ্ঠার সঙ্গে নানা আচার পালন করেন ।
দুর্গাপুরের কুমার মঙ্গলম পার্ক, মোহিষ্কাপুর , বেনাচিতি , মামড়া ও রাজবাঁধ অঞ্চলে বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয়ের ঘাটে ঘাটে ছট পুজোয় মাতেন ভক্তরা। এদিকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর জুড়ে শুরু হয়েছে ছট উৎসবের প্রস্তুতি। রবিবার ছট উপলক্ষ্যে দুর্গাপুর, বেনাচিতি বাজারে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা করতে ঢল নামে ক্রেতাদের। বিশেষত বিভিন্ন ফলের দোকানে উপচে পড়ে ভিড়।
অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছট উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছট ঘাটগুলিতে চলছে আলোসজ্জা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। শহর জুড়ে এখন উৎসবের আবহ ও খুশির রোশনাই।


















