সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে টিআই প্যারেডের রিপোর্টে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে জানা গেছে ধর্ষণকারী মূলত একজন। তবে বাকি পাঁচ জনও কোনও না কোনভাবে এই ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
এদিন দুর্গাপুরে আদালতে টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন বা টিআই প্যারেডের রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। তা দেখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, ধৃত ফিরদৌস শেখ এই ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। সেই ধর্ষণকারী।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ছয় ধৃতকে পেশ করা হয়। তারা নাসিরউদ্দিন শেখ ওরফে সম্রাট (২৩), অপু বাউরি (২১), ফিরদৌস শেখ (২৩), শেখ রিয়াজউদ্দিন ওরফে মন্টু (৩২), শেখ সাফিকুল (২৭) এবং নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসিফ আলি। এদিন সওয়াল-জবাব শুরু হওয়ার সময় আইনজীবী পার্থ ঘোষ আদালতে টিআই প্যারেডের রিপোর্ট খোলার আবেদন জানান। যা বিচারক শুভ্রকান্তি ধর মঞ্জুর করেন। সেই রিপোর্টে জানা যায়, নির্যাতিতা পাঁচজনকেই সঠিকভাবে শনাক্ত করেছেন। যার মধ্যে ফিরদৌস শেখ মুল অভিযুক্ত। একজন ধর্ষণ করলেও বাকিরাও ঘটনায় যুক্ত থাকায় এটি গণধর্ষণের সমান। সওয়াল জবাব শেষে ধৃতদের জামিনের আবেদন বিচারক নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আগামী ৩১ অক্টোবর। অন্যদিকে নির্যাতিতা রবিবার পুলিশের পাহারায় ওড়িশায় তার বাড়ি ফিরে গেছেন। তার সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত গত ১০ অক্টোবর রাতে আটটা নাগাদ দুর্গাপুরের শোভাপুরে আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রী তার পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন। তদন্তে নেমে কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিজড়া গ্রাম থেকে পাঁচ জনকে এবং নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ৬ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিএনএসের ৭০(১) ৩(৫) নং সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।


















