সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- পৃথিবীর সর্বোচ্চ মটোরেবল পাস বা গাড়ি চলাচলের যোগ্য রাস্তা “উমলিং লা” তে বাইক অভিযান করে নজর কাড়লেন বাঁকুড়ার দুই মহিলা অভিযাত্রী, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সুনীতা বাগদি এবং বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীর সর্বোচ্চ মটোরেবল পাস লাদাখের চাংথাং এলাকার পর্বত গিরিপথ “উমলিং লা”, যার উচ্চতা ১৯০২৪ ফুট। যেখানে এর আগে পর্যন্ত বাইক নিয়ে কোনও মহিলা যেতে পারেননি। সফলভাবে এই অভিযান করায় এই দুই মহিলা অভিযাত্রীর নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডেও স্থান পেতে চলেছে।
থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়া ও বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা প্রয়োজনীয়তার বার্তা নিয়ে গত ৩ অক্টোবর বাঁকুড়া এক্সপ্লোরেশন নেচার অ্যাকাডেমি বা বেনা’র চারজনের একটি দল লাদাখের বিপদ সংকুল মাইনাস ৭ থেকে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রায় পর্বতের রাস্তায় মোটরবাইক অভিযানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই আবহাওয়ায় বাইক চালান খুবই দুষ্কর কাজ। যদিও তা সম্ভবপর করেছে বাঁকুড়ার দুই বাঙালি মহিলা। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য় বিষয় হল দলের চার সদস্যের মধ্যে সকলে বাইকে নিয়ে অভিযান করলেও শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি এই অভিযান করেছেন স্কুটি নিয়ে। দুই মহিলা ছাড়াও চার জনের দলে ছিলেন টিম লিডার শেখ আলিমুদ্দিন ও মধুবন উত্তরায়ন হাই স্কুলের শিক্ষক সুকান্ত পাল।
ডাঃ সুনীতা বাগদি জানান, এই অভিযানের মূল উপলব্ধি হল নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করা। নিজের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধগুলোকে নতুন করে জানতে পারা। অন্যদিকে শিক্ষিকা মুন্না পাল বাসুলি জানান, বিশেষ করে স্কুটি নিয়ে এই বিপদ সঙ্কুল ও কঠিন অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। হাই অলটিটিউডে ইঞ্জিনের কিছু সমস্যা হলেও শেষ পর্যন্ত সব বৈপরীত্যকে পিছনে ফেলে জয় এসেছে।
অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ তো বটেই সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে দুই বাঙালির মহিলার এই সফলতা রীতিমতো গর্বের। লাল মাটির দেশের দুই মহিলার এই বিজয়গাঁথা আগামীদিনে অনুপ্রেরণা যোগাবে নতুন প্রজন্মের যুবক যুবতীদের।




















