eaibanglai
Homeএই বাংলায়পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোটার তালিকায় ম্যাপিংয়ে মিল মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোটারের

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোটার তালিকায় ম্যাপিংয়ে মিল মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোটারের

সন্তোষ কুমার মণ্ডল, আসানসোলঃ- ইতিমধ্যেই বাংলা সহ ১২ টি রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন ( এসআইআর ) বাস্তবায়নের কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেবার কাজ। তার আগে বুধবার আসানসোলে জেলাশাসক কার্যালয়ে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন জেলাশাসক এস পোন্নাবলম। আর এই বৈঠকে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জেলার ২০০২ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে, এখনো পর্যন্ত ম্যাপিংয়ে মাত্র ৩৫ শতাংশের নাম মিলেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম বর্ধমানে ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০৩ জন। বিএলওরা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখছেন। তাতে এখনো পর্যন্ত এই জেলায় প্রাথমিক ভাবে ৪১ শতাংশের মিল পাওয়া গেছে। সেই নাম নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো বিওলও অ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে গিয়ে ৩৫ শতাংশ নামের মিল পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এও জানা গেছে, এখনো ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে। তা শেষ হলে এই জেলার সঠিক ভোটারের সংখ্যা জানা যাবে।

এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এসআইআর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন। গোটা প্রক্রিয়া কি ভাবে হবে, সেই বিষয়ে সবাইকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, “পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যেই এসআইআর সংক্রান্ত কাজ শুরু হয়ে গেছে। ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসাররা ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে গণনার ফর্ম বিতরণ করবেন। ভোটারদের সেগুলি পূরণ করতে হবে। তারপর একটি খসড়া তালিকা জারি করা হবে। ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত খসড়া তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি এবং যাচাইকরণ চলবে। সবশেষে ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।”

তিনি আরো জানান, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের নামের সাথে ম্যাপিং করা হবে। যদি এই মুহুর্তে কোনও ভোটারের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় না থাকে, তাহলে তার বাবা-মা বা রক্তের সম্পর্কের কারও নামের সাথে মিল করা হবে।

অন্যদিকে বৈঠক শেষে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিজেপির প্রশান্ত চক্রবর্তী ও তাপস রায় এবং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীরা বলেন, “আমরা সবাই চাই একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করা হোক। বিভিন্ন রাজ্য ও জেলা থেকে এই জেলায় কাজ করতে আসা মানুষদের নাম থাকা সহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে এদিনের বৈঠক আলোচনা করা হয়েছে। জেলাশাসকের সামনে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে। তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে আমাদেরকে জানাবেন।” এছাড়া কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এদিন ম্যাপিংয়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ মিল পাওয়া নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের উৎপল সেন বলেন, “আমরা গোটা প্রক্রিয়ার দিকে নজর রাখছি। এই জেলা মূলতঃ শিল্পাঞ্চল এলাকা। অনেকে বাইরে থেকে এসেছেন ও থাকছেন। অনেকে চলে গেছেন। তাদের কি হবে, এমন কিছু প্রশ্ন আমরা এদিনের বৈঠকে রেখেছিলাম। জেলাশাসক জানিয়েছেন, কোন কিছুতেই কোন সমস্যা হবেনা। নির্বাচন কমিশন যেমন নির্দেশ দেবে, তেমন করা হবে।”

এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস সহ অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা । এছাড়াও ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বা এডিএম ( ইলেকশন), ওসি ( ইলেকশন) সহ ইলেকশন দপ্তরের আধিকারিকরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments