সঞ্জীব মল্লিক,বাঁকুড়া : শীত মানের চরুইভাতের নেশাতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুঁটে যাওয়া । তার উপর বছরের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো কি মিস করা যায় । সেই মত বড়দিনের সকালে পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে বাঁকুড়ার পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে । মুকুটমনিপুর, শুশুনিয়া ,রণডিহা ড্যাম থেকে শুরু করে জেলার সমস্ত ছোট ছোট পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে মানুষের ঢল নেমেছে । শীতের চাদর সরিয়ে আজকের দিনটাকে নিজেদের মতো করে কাটাতে মানুষ পৌঁছে গেছেন পর্যটনস্থল গুলিতে । সরাবছরের গ্লানি কাটিয়ে মনের আনন্দ খুজে পেতেই মানুষ যেন ভির জমাচ্ছেন পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে । মুকুটমনিপুর ডেভেলপম্যান্ট তৈরী হওয়ার পর নতুন করে সেজে উঠেছে ‘বাঁকুড়ার রাণী’ মুকুটমনিপুর। পথচিত্র, পরিবেশ বান্ধব যানের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে নৌকাবিহার। সব ক্ষেত্রেই মানুষের আগ্রহ বিশেষ নজরে এসেছে। প্রশাসনিক তৎপরতায় এখানে প্লাষ্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়েছে। জলাধারের নৌকা বিহারের সময় দূর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে বিপর্য্য় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা সদা সতর্ক আছেন। রয়েছে যথেষ্ট পুলিশী নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। অন্যদিকে শুশুনিয়া পাহাড়েও মানুষের ঢল নেমেছে । শুশুনিয়া পাহাড়ের একটা অন্য ঐতিহ্য রয়েছে । আকারে ছোট হলেও সৌন্দর্যে নজর কারে পর্যটকদের । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলার গণ্ডী ছাড়িয়ে ভিন জেলা বা রাজ্য থেকেও মানুষ এখানে আসছেন । কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে খুলে দেওয়া হয়েছে শুশুনিয়া মরুৎবাহা ইকোপার্ক। সপরিবারে সেখানেও মানুষ কিছুটা সময় কাটাচ্ছেন। চলছে দেদার খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। সব মিলিয়ে বড় দিনের সকালেই জমে উঠেছে শুশুনিয়াও ।অন্যদিকে পিছিয়ে নেই সোনামুখীর দামোদর ড্যাম । সকাল থেকেই পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছেন । পাত্রসায়ের ,সোনামুখী ,বড়জোড়া , বিষ্ণপুর এমনকি অন্যান্য জেলা থেকেও পর্যটকরা এসে ভিড় জমান । দোকানের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছেন ছোঁট ব্যবসায়ীরা । এই মরসুমে তারাও দুপয়সা ঘড়ে তুলতে পারছেন ।