সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নির্মাণ উচ্ছেদের অভিযান গত বছর থেকেই শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবার রেল শহর চিত্তরঞ্জনে একসঙ্গে ১৬ টি ক্লাবকে উচ্ছেদের নোটিশ দিল রেলকর্তৃপক্ষ। আগামী ১৮ নভেম্বরের আগে ওইসব কাঠামো নিজেদের উদ্যোগেই সরিয়ে ফেল না হলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে নোটিশে জানিয়েছে রেল। ১ নভেম্বর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৮ নভেম্বর পুনরায় চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যা ওই ক্লাবগুলির দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে শহরের চার পাঁচ এবং ছয়- এর পল্লী এলাকার ১৪ টি ক্লাব এবং তিনের পল্লী এলাকার দুটি ক্লাবকে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এই নোটিশ জারি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি পাড়ায় পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে থাকা ক্লাবগুলি বিশেষ সামাজিক ভূমিকা রয়েছে। সারা বছর ধরে নানা ধরণের সামাজিক দায়-দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চালায় ক্লাবগুলি। এরফলে এলাকার মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সম্প্রীতির ভাব বজায় থাকে। এছাড়া প্রয়োজনের সময় বিপদের দিনে ক্লাবের সদস্যরা এলাকার মানুষের সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। সারা বছর তারা মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখেন।
অন্যদিকে রেলের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেছে সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং এবং লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত। ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন, “দিনের শেষে রেল কর্মীরা ক্লাবে গিয়ে খেলাধুলা বই পড়া গল্প গুজব করার মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলেন। এবার সেই সমস্ত সুযোগও রেল শেষ করে দিচ্ছে।” রাজীববাবু বলেন, “চিত্তরঞ্জনকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও বহু অনুমতিহীন বাসগৃহ দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে রেলের তরফে। তখন রক্তদান আন্দোলনের মতো সামাজিক সংগঠনের কার্যালয়, নিয়মিত খেলাধুলা সাংস্কৃতিক চর্চায় যুক্ত ক্লাব ইত্যাদিকে ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানান আলাপ আলোচনায় তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। যদিও রেলের তরফে জানানো হয়েছে শহরবাসীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে। অনুমোদনহীন কোন নির্মাণ শহরের বুকে রাখা যাবে না।


















