সৌভিক সিকদাল, মঙ্গলকোট,পূর্ব বর্ধমান-: একদল মানুষের সীমাহীন লোভের জন্য বেড়ে গেছে বৃক্ষচ্ছেদনের পরিমাণ। এরফলে পরিবেশ দূষণ জনিত কারণে বিশ্ব উষ্ণায়ন বেড়েই চলেছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।
ঠিক সেই সময় আর এক বিপদ দুয়ারে এসে হাজির হয়েছে। ‘ধানের গোলা’ হিসাবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আমন ধান উঠতে শুরু করেছে। কোথাও যন্ত্রের সাহায্যে, কোথাও বা কৃষিশ্রমিক ব্যবহার করে ধান গাছ কাটা হচ্ছে। মাঠের মধ্যে পড়ে থাকছে ‘নাড়া’। কুটুরিগুলো জড়ো করে রাখা হচ্ছে মাঠের মধ্যে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অতীতের মত সেগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের ফলে সৃষ্ট প্রচণ্ড তাপ পরিবেশের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে কৃষি জমির। সাধারণ মানুষ পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছেনা। ইতিমধ্যে মঙ্গলকোটের বালিডাঙা, জালপাড়া সহ বেশ কিছু গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. নাদিরা চৌধুরী বললেন, সবকিছু আইন করে বন্ধ করা যায়না। দরকার মানুষের সচেতনতা। ক্ষেত জমিতে আগুন লাগানোর জন্য পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে জমির স্বাভাবিক উর্বরতা শক্তির। আগুনের তাপে জমিতে থাকা কৃষির পক্ষে উপকারী অণুজীবগুলো মারা যাচ্ছে। তাছাড়া মাটির উপরের অংশটা পুড়ে গিয়ে সেগুলি চাষের পক্ষে অনুপযুক্ত হয়ে উঠছে। সুতরাং সাবধান নাহলে সমূহ বিপদ।


















