সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- দেশের ১১ টি রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ জুড়েও চলছে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের কাজ। এরাজ্যে ৯৯ শতাংশেরও বেশি ফর্ম বিলি হয়ে গেছে। চলছে ফর্ম সংগ্রহ ও অনলাইনে তথ্য নিথভু্ক্ত করার কাজ। এই সব কাজই একাহাতে সামলাচ্ছেন নির্বাচিন কমিশন নিযুক্ত বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওরা। এতো কাজের চাপে নাজেহাল অবস্থা বিএলওদের। অনেকেই যা নিয়ে অভিযোগ প্রকাশ করছেন। আবার এই কাজের চাপের জন্য কমিশনকে দায়ী করে বিএলওর আত্মহত্যার খবরও সামনে এসেছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে একেবারে অন্য চিত্র ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। যেখানে বিএলও শুধু ফর্ম জমা বা সংগ্রহই করছেন না প্রয়োজনে ভোটারদের ফটো তোলা থেকে ফর্ম পূরণ সবই নিজে দায়িত্ব নিয়ে করে দিচ্ছেন।
বাঁকুড়ার ইন্দাসের পাহাড়পুর পূর্ব বুথের বিএলও মীর বদরুদ্দোজা। এই বুথ এলাকাতেই বসবাস করেন বৃদ্ধ নয়ন মাঝি ও তার অসুস্থ স্ত্রী। স্ত্রী পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ফলে সংসারের বেশীরভাগ কাজ সামলাতে হয় নয়নবাবুকেই। এদিকে এসআইআর-এর এনুমারেশন ফর্ম পেলেও কাজের চাপে তা আর পূরণ করা হচ্ছিল না তাঁর। খোঁজখবর নিতে গিয়ে পুরো বিষয়টি জানতে পারেন এলাকার বিএলও মীর বদরুদ্দোজা এবং তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ওই বৃদ্ধ দম্পতির এনুমারেশন ফর্ম পূরণের সব ব্যবস্থা করেন। স্বামী স্ত্রীর ফটো তুলে, দোকান থেকে সেই ফটো প্রিন্ট করিয়ে তাদের সামনে বসিয়ে ফর্ম পূরণ করান মীর সাহেব।
এক সরকারি কর্মীর এহেন আন্তরিক পরিষেবায় রীতিমতো আপ্লুত মাঝি দম্পতি। নয়নবাবু জানান, বিএলও সাহেব ফর্মের জন্য সব ব্যবস্থা না করলে আমাদের ফর্ম জমা দেওয়া হতো না। ওনাকে আন্তরিক ধন্যবাদন জানাই।
অন্যদিকে বিএলও মীর বদরুদ্দোজা জানান ইতিমধ্যে ৯০% কাজ শেষ করে ফেলেছেন তিনি। এখনও হাতে বেশ কিছু সময় রয়েছে। তাই এখন তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন ও এসআইআর সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।


















