সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- রাজ্যে এসআইআর ঘোষণার পর কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছেন একাধিক জায়গার বিএলওরা। এমনকি কর্তব্যরত দুই বুথ স্তরের আধিকারিক বা বিএলওর আত্মহত্যার কারণ হিসাবে এসআইআরের কাজের চাপকে দায়ী করা হয়েছে। কোথাও আবার কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে বিএলও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আবার কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েধর্নাও দেখিয়েছেন। কিন্তু একেবারে অন্য ছবি ধরা পড়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। বিষ্ণুপুর থানার বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতের জামসোলা গ্রামের বিএলও শোভানারার এক পা নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে শেষ করে ফেলেছেন ৯৯ শতাংশ কাজ। নেই কোন অভিযোগ। আর তাঁর এই হার না মানা উদ্যোমে অনুপ্রাণিত সকলে।
বিষ্ণুপুর থানার বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতের জামসোলা গ্রামের বাসিন্দা স্নাতকোত্তর ও বিএড ডিগ্রিধারী শোভানারা বায়েন পেশায় আইসিডিএস কর্মী। জন্ম থেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এক পায়ে ভর দিয়ে চলতে হয় তাঁকে। অকেজো পা হাঁটুর কাছে বেঁধে রেখে তিনি লাফিয়ে লাফিয়ে চলেন । আশ্চর্যের বিষয় তিনি কোনো ক্রাচ ব্যবহার করেন না।
তিনি নিজের গ্রাম জামশুলির ২৩৮ নম্বর বুথের বিএলও নির্বাচিত হন কমিশন দ্বারা। এই বুথে ভোটার সংখ্যা ১০৩৯ জন। ইতিমধ্যেই মধ্যেই ৯৯ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন তিনি। শোভানা বলেন, “এসআইআর ফর্ম ফিলাপ খুবই সহজ কাজ। ভয় বা চাপ কোনো কিছুরই জায়গা নেই। প্রথম দিকে একটু অস্বস্তি হয়েছিল, কিন্তু কাজ শুরু করতেই বুঝলাম সরকার দেশজুড়ে যতটা সুসংগঠিতভাবে প্রক্রিয়া চালু করেছে, তাতে চাপের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। দায়িত্ব যেহেতু দেশের স্বার্থে, তাই তা পালন করাই আমার কর্তব্য।”
গ্রামবাসীরা জানান বরাবরই ওর ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনেছে ওর শারীরিক সমস্যা। এ বারেও তা-ই হল।

















