সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বেদ পুরাণ উপনিষদ সহ হিন্দু ধর্মের বহু ধর্মগ্রন্থ রয়েছে যা হিন্দু দর্শনকে জানা বোঝার অন্যতম মাধ্যম। তবে এতসবের মধ্যে শ্রীমদ্ভগবদগীতাকে হিন্দু দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার মূল আধার হিসেবে মনে করা হয়। এটি মূলত মহাভারতের একটি অংশ, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে ধর্ম, কর্ম, জ্ঞান, ভক্তি এবং জীবনের অন্যান্য মৌলিক বিষয় সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছেন। যা আসলে মানব জাতির উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের উপদেশ হিসেবেই মনে করা হয়। এহেন শ্রীমদ্ভগবদগীতার বঙ্গানুবাদ করে সর্বকনিষ্ঠা বাঙালি মহিলা হিসেবে ইণ্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছেন বাঁকুড়া শহরের নির্মলডাঙ্গা সোমা চৌনী।
পেশায় শিক্ষিকা সোমা জানান, জীবন যাপনের পথে প্রত্যেক মানুষকেই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সেই সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মুখনিঃসৃত শ্রীমদ্ভগবদগীতা পথ দেখাতে পারে, কঠিন পরিস্থিতি থেকে মানুষকে উদ্ধার করে স্বাভাবিক জীবনের পথে এগিয়ে দিতে পারে। শ্রীমদ্ভগবদগীতার বাণী বুঝে উপলব্ধি করে প্রাত্যহিক জীবনে তা প্রয়োগ করতে পারলে মানুষের জীবন চলার পথ অনেকটাই সহজ হতে পারে। এই ভাবনা থেকেই মানুষের কাছে (বাঙালি) ভগবানের বাণী সহজ সরল ভাষায় পৌঁছে দিতেই তাঁর এই উদ্যোগ।
কলকাতার একটি নামী প্রকাশনী সংস্থা থেকে সোমার বঙ্গানুবাদ করা শ্রীমদ্ভগতদগীতা প্রকাশিত হয়েছে। যা পাঠক মহলেও তা যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে । এই বইয়ে গীতার সংস্কৃত শ্লোকের শব্দার্থ, বঙ্গানুবাদ, শ্লোকের মানে সহজভাবে দেওয়া হয়েছে। সোমা জানান এই প্রক্রিয়াটি করতে তাঁর প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে।
সম্প্রতি ইণ্ডিয়া বুক অব রেকর্ড কর্তৃপক্ষের তরফে শংসাপত্র, মেডেল সহ অন্যান্য সামগ্রী এসে পৌঁছেছে সোমার কাছে। যা নিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত সোমা। বাঁকুড়ার এই মেয়ের মতে এই পুরস্কার তথা সম্মান আগামী দিনে সমাজের জন্য আরও বড় কিছু করার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।












