নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- এসআইআরের সবক’টি পর্যায়ের সময়সীমা সাতদিন করে বাড়ানোর কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখের ৪ডিসেম্বরের বদলে দিন ১১ ডিসেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা ৯ ডিসেম্বরের বদলে ১৬ তারিখ এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারির বদলে ১৪ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।
এবার কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দুর্গাপুরে এসআইআর সংক্রান্ত এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই বিষয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়, কেন্দ্রের শাসকদলের অধীনে কাজ করছে। সকালে বিজেপি যা বলছে বিকেলে কমিশন সেই নির্দেশমতো কাজ করছে। এই সময় বাড়ানো আসলে একটা যাড়যন্ত্র। বিএলওদের ওপর অত্যাধিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। মানসিকভাবে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। একটার পর একটা ষড়যন্ত্র তৈরি করে যাচ্ছে ওরা। কিন্তু বাংলায় একটা ষড়যন্ত্রও কাজে লাগবেনা। বাংলায় একটা ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায় সেই জন্য আমাদের যা করতে হয় করব। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা দিল্লিতেও অভিযান করব।”
প্রসঙ্গত রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে যাতে একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ না যায় তার জন্য ভোট রক্ষা শিবির শুরু করেছে তৃণমূল। বুধবার দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীতে অ্যান্ড্রুজ প্লেসে রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠাতি এই শিবির। যেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী। শিবিরে দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা এলাকার বিএলএদের নিয়ে চলে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক। এই বিধানসভা এলাকায় যাতে কোন যোগ্য ভোটারের নাম বাদ না যায় সেবিষয়ে নজরদারির বার্তা দেওয়া হয় বিএলএদের।
এদিনের এই শিবের উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাশাপাশি রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা ভি শিবদাশন দাশু, সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়, প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরা।
প্রসঙ্গত মাত্র দু মাসের মধ্যে এসআইআর-এর কাজ সম্পূর্ণ করে সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের যুক্তি এত কম সময়ে এসআইআরের কাজ করতে গেলে এক দিকে যেমন ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা থাকবে তেমনি পাহাড়প্রমাণ কাজের চাপ তৈরি হবে বিএলওদের উপর। এনিয়ে কমিশনের সঙ্গে যথেষ্ট দ্বন্দ্বও তৈরি হয় দুপক্ষের।
















