eaibanglai
Homeএই বাংলায়ঝাঁটা হাতে ডিভিসির উচ্ছেদ রুখে দিয়েছিলেন, এবার ডিভিসির চেয়ারম্যানকে শঙ্খ বাজিয়ে স্বাগত...

ঝাঁটা হাতে ডিভিসির উচ্ছেদ রুখে দিয়েছিলেন, এবার ডিভিসির চেয়ারম্যানকে শঙ্খ বাজিয়ে স্বাগত জানালেন মহিলারা

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- সম্প্রতি ডিভিসির উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে ঝাঁটা হাতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন মহিলারা। এবার ডিভিসির চেয়ারম্যানকে শঙ্খ বাজিয়ে স্বাগত জানালেন পাশের এলাকার মহিলারা।

প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিটিপিএস বা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন সংস্থার সম্প্রসারনের কাজ শুরু করেছে ডিভিসি। প্রায় ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ৮০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজন প্রচুর জমি। গত বছর থেকেই ডিভিসির অধিৃত জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্য লাগাতার চলছে উচ্ছেদ অভিযান। আর এই উচ্ছেদ অভিযান করতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে।তবে মায়াবাজারে ডিটিপিএস টাউনশিপ এলাকায় বহু জমি পুনরুদ্ধারও করেছে কর্তৃপক্ষ। ভাঙা হয়েছে বহু বেদখল আবাসন। এছাড়াও মায়াবাজারে ডিভিসির জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ বস্তি উচ্ছেদ করে শুরু হয়েছে সীমানা প্রচীর দেওয়ার কাজ।

সম্প্রতি এই উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে ঝাঁটা হাতে মহিলাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদে। মহিলারা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বলেন, “তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। এখন তাদের বাড়িঘর ভেঙে দিলে পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে এই শীতে কোথায় যাবেন। তাই পুনর্বাসন না দিলে তারা জমি কোনভাবেই ছাড়বেন না বলে দাবি করেন। দীর্ঘ সময় ধরে টানাপোরেনের পর অবশেষে উচ্ছেদ কর্মসূচি বন্ধ রেখেই ফিরতে হয় আধিকারিকদের।

এবার একেবারে অন্য ছবি ধরা পড়ল। বুধবার ডিভিসির চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার ডিভিসির একটি নতুন হাসপাতালের শিলান্যাস করতে আসেন। তখনই ওই এলাকার মহিলারা ডিভিসির চেয়ারম্যানকে শঙ্খ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন ও স্বাগত জানান। ডিভিসির চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার বলেন,”নতুন ইউনিট তৈরি হচ্ছে। তার আগে স্কুল, হাসপাতালের কাজ শুরু হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা মানুষকে বুঝিয়ে কাজ করছি। তবে এই ইউনিটের কাজ শেষ হলে দুর্গাপুরের মানুষের আশা পূরণ হবে।”

অন্যদিকে এলাকার মহিলারা জানান, তারা শিল্পের পক্ষে। তারা চাইছেন দ্রুত দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের অধীনস্থ দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের নতুন ইউনিট তৈরি হোক। শিল্পায়ন হলে এলাকার ও সর্বপোরি এলাকার মানুষেরই উন্নয়ন হবে বলে তাদের আশা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments