সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- আসানসোলে পুর কর্মী শ্যুটআউট কাণ্ডে গ্রেপ্তার মাস্টার মাইন্ড আসিফ খান। শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করে চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত,গত ২৯ অগস্ট কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত নিয়ামতপুরের রহমান পাড়ায় আসানসোল পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী জাবেদ বারিককে তার বাড়ির কাছে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শ্যুট করে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। সিসিটিভিতে ধরা পড়ে পুরো ঘটনা। তদন্তে নেমে ৩০ অগস্ট জাভেদ বারিকের খুড়তুতো ভাই ইন্তেকাফ আলমকে গ্রেপ্তার করে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে খুনের মাস্টার মাইন্ড মৃত জাবেদ বারিকের খুড়তুতো বোন ফারাহ নাজ ও তার স্বামী আসিফ খান। গত ২ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি থেকে ফারাহ নাজ ও তার গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে বারিক জাভেদের জলপাইগুড়িতে কয়েক কোটি টাকার পৈতৃক জমি রয়েছে। সেই জমি নিয়ে খুড়তুতো ভাইবোনেদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এরই মাঝে ফারাহ নাজ ও তার স্বামী জাবেদকে খুন করার পরিকল্পনা করে এবং ৫লক্ষ টাকার বিনিয়ে একটি শ্যুটার গ্যাংকে খুনের সুপারি দেয়। পরে ওই গ্যাংয়ের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে খবর, নিহত জাভেদের বাবা আবদুল বারিক ছিলেন স্কুলশিক্ষক। কর্মসূত্রে বারিক পরিবার নিয়ামতপুরে আসে। তাঁদের আদি বাড়ি জলপাইগুড়িতে। জাভেদের বাবার কিছু জমি রয়েছে সেখানে। সেই সম্পত্তি ভুয়ো নথি বানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল তাঁর খুড়তুতো বোন ফারহা নাজ ও তার স্বামী। জাভেদ তা জানতে পেরে মামলা করেন। তাতে সম্পত্তি বিক্রির প্রক্রিয়া থমকে যায় এবং ক্রেতারা পাল্টা ফারদাকে চাপ দিতে থাকে। সেই ক্ষোভ থেকেই জাভেদকে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন করায় বোন।
এই ঘটনায় আসিফকে নিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে এই ঘটনায় আসিফের বন্ধু জাভেদ কুরেশী এখনো পলাতক রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ঘটনার পর থেকে মোঃ আসিফের খোঁজে লাগাতার অভিযান চলছিল। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার আসানসোল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

















