সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন ও যাছাই পক্রিয়া চলাকালীন ইতিমধ্যে রাজ্যে নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে খড়সা তালিকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় বাদ পড়েছে প্রায় ৫৮ লক্ষ ভোটারের নাম। এবার এই খড়সা তালিকা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আসানসোলের কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুরের লছিপুর নিষিদ্ধপল্লী এলাকায়। এখানকার চারটি বুথে খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৭৪২ ভোটারের নাম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাদ যাওয়া ভোটারের মধ্যে মৃত বা মারা গেছেন ১৩৯ জন। অন্যত্র চলে গেছেন ৬৯ জন। পাশাপাশি এই চারটি বুথে ৫৩৪ জন ভোটারের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তারা নাকি এনুমেরেশন ফর্ম তুলেছেন কিন্তু তা আর জমা দেননি। এছাড়াও ২০০২ এর তালিকার সাথে ম্যাপিং করা যায়নি, এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিষয়টি নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে বিরোধী দল বিজেপি। দলের আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক কেশব পোদ্দারের অভিযোগ, এই ভোটার আসলে নেই। কিন্ত ভোটার তালিকায় এই নাম রেখে দেওয়া হয়েছিল। এই ভুতুড়ে ভোটারদের বছরের পর বছর নির্বাচনে কাজে লাগানো হয়েছে। এই নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশী যোগ থাকার অভিযোগও করেছেন তিনি। যদিও বিরোধী দলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাচ্চু রায়ের দাবি, এলাকার যৌনকর্মীরা আসল পরিচয় গোপন রেখে এখানে ব্যবসা করতে আসেন। তারা এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে ভয় পেয়ে অন্যত্র চলে গেছেন বা ফর্ম তুলেও জমা করেননি। এর সাথে বাংলাদেশের কোন যোগ নেই।
অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের নাম বাদ গেছে তাদের শুনানিতে ডাকা হবে। শুনানি হওয়ার পরই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

















