eaibanglai
Homeএই বাংলায়"বিজেপির রাজনৈতিক জনসভায় যোগ দিয়ে ভুল হয়েছিল" স্বীকার দুর্গাপুরের ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষের

“বিজেপির রাজনৈতিক জনসভায় যোগ দিয়ে ভুল হয়েছিল” স্বীকার দুর্গাপুরের ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষের

নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ গত ২রা ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে বিজেপির রাজনৈতিক জনসভায় যোগ দিয়ে ভুল হয়েছে। এই বাংলায় নিউজ পোর্টালের খবরের জেরে ক্রমাগত চাপ বাড়তে থাকায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই বিবৃতি দিলেন দুর্গাপুরের ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে দুর্গাপুর শহরের অগণিত ভক্ত ও অনুগামীদের কাছে এই ভুল স্বীকার করে করজোড়ে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন ইস্কন মন্দিরের সমস্ত সদস্যগণ। ঘটনার সূত্রপাত ২রা ফেব্রুয়ারি। দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামে বিজেপির জনসভায় ভিআইপি সিটে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল দুর্গাপুরের ইস্কন মন্দিরের প্রধান, কোষাধ্যক্ষসহ আরও বেশকয়েকজন সাধু-সন্তকে। আর এই খবর এই বাংলায় নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হতেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল কী করে একটি ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েও কোনও এক রাজনৈতিক জনসভায় যোগ দিতে পারেন তারা। বিতর্ক এই জায়গায় পৌঁছায় যে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি উত্তম মুখার্জী তীব্র ভাষায় ঘটনার নিন্দা করেন। জল এতটাই গড়ায় যে শেষপর্যন্ত মাঠে নামতে হয় দুর্গাপুর ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষকে। ইস্কন মন্দিরের তরফে সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, গত ২রা ফেব্রুয়ারি বিজেপির জনসভায় যোগ দেওয়া ভুল হয়েছিল মন্দিরের সাধু-সন্তদের। এই ঘটনার জন্য তাঁরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।

পাশাপাশি মন্দিরের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বিজেপির জনসভায় যোগ দেওয়ার তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে ভগবদগীতা তুলে দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীকে একবারের জন্য দেখতে পাওয়া। দুর্গাপুর ইস্কন মন্দিরের এহেন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এই বাংলায় ওয়েব পোর্টালও। কারণ, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এই বাংলায় ওয়েব পোর্টালে এই খবর প্রকাশের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে আমাদেরকেও। কারণ ইস্কন মন্দিরের বিরুদ্ধেও যেমন আঙুল উঠেছিল ঠিক তেমনভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করারও অভিযোগ উঠেছিল এই বাংলায় ওয়েব পোর্টালের বিরুদ্ধেও। কিন্তু সোমবার দুর্গাপুর ইস্কন মন্দিরের এহেন পদক্ষেপ দুর্গাপুরবাসীর সেই ভুল ভেঙে দিল। এই বাংলায় কখনোই কারোর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে না, ভবিষ্যতেও করবে না। সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব হিসেবে যেকোনো খবর তুলে ধরাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। আর সেই তাগিদেই গত শুক্রবার এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল এই বাংলায় ওয়েব পোর্টালে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments