সোমনাথ মুখার্জী, অন্ডাল- মঙ্গলবার সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা অন্ডালের কাজোড়া এরিয়ার পড়াশকল ওয়েস্ট কোলিয়ারিতে। ২০১৪ সালে সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারি শ্রমিক লক্ষীরাম মাঝি মারা যান। তাই তার স্ত্রী বদনি মেঝেন তখন কোলিয়ারিতে কাজের জন্য তার মৃত স্বামীর চাকরীর জন্য সমস্ত কাগজপত্র জমা করেন বলে জানান বদনী দেবি। তার অভিযোগ দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও তার চাকরি হয়নি। বারবার কোলিয়ারি দপ্তরে দপ্তরে ঘুরেও কোন কাজ হয়নি। বরং তার অভিযোগ কোলিয়ারির এক আধিকারিক তার কাছে দু লক্ষ টাকা ঘুষ চান চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য। কিন্তু অসহায় গরীব বদনী দেবী সেই টাকা জোগাড় করতে না পারায় আজও তিনি তার চাকরি ফিরে পাননি। ধার দেনা করে কোনোরকমে পেট চালাচ্ছেন তিনি। ই সি এল এর নিয়ম অনুযায়ী কোন শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার নিয়ম আছে। সেই চাকুরীর ওপর প্রথম অধিকার বর্তায় শ্রমিকের স্ত্রীর। লক্ষীরাম মাঝি মারা গেলেও চাকরি পাননি তার স্ত্রী বলে অভিযোগ উঠছে কোলিয়ারি চত্বরে। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই খনির সামনে বসে পড়েন চাকুরিপ্রার্থী বদনী দেবী। ফলে খনির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা হরে রাম সিং। তিনি জানান, ইসিএলের এক আধিকারিক দু লক্ষ টাকা ঘুষ চাইছেন চাকরি দেবার জন্য, এই অবস্থা কেন চলবে? সেই জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের এই বিষয়ে জানান। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইসিএলের এক আধিকারিক এন কে সিং জানান সমস্ত কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন অফিসে পাঠানো হয়েছে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ইসিএল।