নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ আজও সমাজে অব্যাহত রয়ে গেল নাবালিকার বিয়ে। বারবার বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারের মাধ্যমে বন্ধের চেষ্টা করলেও, কিছু অশিক্ষিত অবুঝ মানুষের জন্যে আজও সমাজে ঘটে চলেছে এরকম ঘৃন্য অপরাধমূলক কাজ। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ প্রশাসন। আর এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল দঃ ২৪ পরগনা জেলা জীবনতলা থানা এলাকায়। যেখানে নিজের নাবালিকা মেয়েকে পাকা দেখার নামে বিয়ে দিতে চলেছেন খোদ বাবা। ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, জীবনতলা হোমরাপলতা দক্ষিন সর্দারপাড়ার বাসিন্দা নূর ইসলাম সরদারের নাবালিকা মেয়েকে পাকা দেখার নামে হঠাৎ বিয়ে ঠিক করেন উঃ ২৪ পরগনার মিঁনাখা তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকিবুল্লা বিশ্বাসের ছেলে সেলিম বিশ্বাসের সাথে। নিজের মেয়ের সাথে ছলনা করছে বাবা ,সেটা তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারে নাবালিকা । আর দেরির অপেক্ষা রাখেনি সে। আড়াল থেকে সাথে সাথে ফোনে যোগাযোগ করে কন্যাশ্রী গ্রুপে দেওয়া বিডিও সাহেবের সাথে । আর তাঁর একটা ফোনেই মুহূর্তের মধ্যে স্বপ্নের মতো বদলে যায় তাঁর জীবন। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ কাজ শুরু করে দেন চাইল্ড লাইনের সদস্য বান্টি মুখার্জী। এরপর ফোনে যোগাযোগ করেণ ক্যানিং-২ (জীবনতলা )এর বিডিও দেবব্রত বাবুর সাথে। আর তিনি এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে জীবনতলা থানার ওসি ও চাইল্ড লাইনকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। আটকে দেন ওই নাবালিকার বিয়ে এবং এই বিয়ে হলে যে নাবালিকার জীবনে কতটা প্রভাব পড়তে পারে তা তাঁর বাবাকে বোঝান বিডিও সাহেব। এরপর ওই নাবালিকার বাবা নূর ইসলাম থেকে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নেন দেবব্রত বাবু ( বিডিও) । দেবব্রত বাবু বলেন নিজের উপস্থিতি বুদ্ধির জোরে নিজের বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন ওই নাবালিকা এবং তিনি আরও বলেন যে, নিজেদের বিয়ে বন্ধ করতে এইভাবে যদি বাড়ির নাবালিকারা নিজেদের উপস্থিতি বুদ্ধি কাজে লাগান, তাহলে এরকম অপরাধমূলক ঘৃণ্য কাজ সমাজ থেকে মুছে ফেলা যেতে পারে।