নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ এই বাংলায় ওয়েব পোর্টালের লাগাতার খবরের জের। চাপে পড়ে দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ে অবস্থিত বেসরকারি আইনী কলেজের পড়ুয়াদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিল আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিবৃতি দিল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমানে দুর্গাপুরের ল কলেজ ও DILS কলেজের বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন নিয়ে যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তার দ্রুত নিস্পত্তি ঘটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে –
১। গত ১০ই এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে দুর্গাপুর ইন্সটিটিউট অফ লিগ্যাল স্টাডিজ এবং দুর্গাপুর ল কলেজর অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজও সেই আবেদন কার্যকর করে নি বিসিআই।
২। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দাবী করা হয়েছে, গত ২৪শে জুলাই ২০১৮ দুর্গাপুরের দুই বেসরকারি আইনী কলেজের অনুমোদনের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজ ও ফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বার কাউন্সিলকে পাঠানো হলেও সেই অনুমোদন আজও মেলে নি।
৩। আসানসোলে অবস্থিত কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য, গত ১৩ই ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে ফের একবার বার কাউন্সিলকে কলেজগুলির অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে কলেজের তরফে।
এরকম পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ৬ই ফেব্রুয়ারি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার দিল্লিতে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে কলেজগুলির অনুমোদনের বিষয়ে এই দীর্ঘ টালবাহানার কারণ জানতে চান। উত্তরে বিসিআই-এর তরফে জানানো হয়, ব্যাপক কাজের চাপে অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব হচ্ছে দুর্গাপুরের দুই আইনী কলেজের অনুমোদন প্রদানের কাজে। তবে বিসিআই-এর তরফে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলারকে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের দ্রুত অনুমোদনের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কলেজ সূত্রে জানা গেছে এবং ২০১৯ সালে পড়ুয়াদের কোর্স শেষ হওয়ার আগেই এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১১ই মার্চ কলেজের বিসিআই অনুমোদন না থাকার অভিযোগে দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় সংলগ্ন বেসরকারী আইনী কলেজে বিক্ষোভে নেমেছিল কলেজের পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে কলেজের অনুমোদনের দাবীতে সরব হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষও। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তরে বিবৃতি দিল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।