সোমনাথ মুখার্জী ,লাউদোহা- সোমবার সাতসকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল লাউদোহার ঝাঁজরা এমআইসি কোলিয়ারি এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খনির অদূরে অবস্থিত কুলবনী গ্রাম। গ্রামের যাওয়ার রাস্তা ইসিএলের সংশ্লিষ্ট খনির কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই অবিলম্বে ওই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে খনিমুখের সামনে সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খনির পরিবহন ও উৎপাদন।
গ্রামবাসীদের দাবি গ্রামের রাস্তাটি অবিলম্বে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে পাকা করে দিতে হবে, অন্যথায় তাদের এই আন্দোলন চলবে। আন্দোলনকারী সারথি রুইদাস ও মহম্মদ ইসাক জানান ইসিএলের তরফে সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে। সোমবার বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লাউদোহা-ফরিদপুর থানার পুলিশ ও ইসিএলের সিআইএসএফ নিরাপত্তাকর্মীরা। বিক্ষোভ শুরু দুঘন্টা পর ইসিএল আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু ঘন্টা তিনেকের সেই বিক্ষোভের জেরেই সোমবার ইসিএলের কয়লা উত্তোলনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় কয়েক হাজার টন কয়লা। উল্লেখ্য, কোনও না কোনও কারণ নিয়ে প্রায় প্রত্যেক দিনই অন্ডাল, লাউদোহা কোলিয়ারি এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে প্রায় থমকে যাওয়ার খবর পাওয়া যায় ইসিএলের উৎপাদন। ফলে প্রায় কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ইসিএলকে। এই নিয়ে একাধিকবার ইসিএলের তরফে বৈঠক করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আর তার জেরে পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ, রাস্তা সারাই, দুর্ঘটনা বিভিন্ন রকম ঘটনা ঘটলেই সাধারন মানুষ ক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসছেন। এর ফলে ইসিএলেরও যেমন ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি কোলিয়ারি এলাকার বাসিন্দাদেরও কোনও সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না। ফলস্বরূপ দিনের পর দিন বাড়ছে এলাকাবাসীদের ক্ষোভ, শ্রমিক বিক্ষোভ, কোলিয়ারি ঘেরাও-এর মতো ঘটনা। যার ক্ষতি যেমন গুনতে হচ্ছে ইসিএলকে তেমনি চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষও।