নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বিজেপির দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার পিছনে এবার খোদ বিষ্ণুপুরের এসডিপিও-র যোগসাজশের অভিযোগ তুললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিষ্ণুপুরে বেশকয়েকটি বিজেপির দেওয়াল লিখন মুছে দেওয়ার ঘটনায় হাত রয়েছে এসডিপিও সুকোমল কান্তি ঘোষের। যদিও এবিষয়ে এখনও এসডিপিও-র তরফে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সৌমিত্র খাঁ-এর তরফে বিষ্ণুপুরের এসডিপিওকে সরাসরি আক্রমন এই প্রথম নয়, এর আগেও সুকোমল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করার মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন বর্তমান এই বিজেপি প্রার্থী। একদিকে যখন বিতর্কের মধ্যেই লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে খবরের শিরোনামে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী তখন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার একপ্রস্থ প্রচার সেরে নিলেন সিপিএম প্রার্থী সুনীল খাঁ। এদিন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে প্রচার চালান এই সিপিএমের প্রার্থী। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বামপ্রার্থী জানান, একটা সময় সাংসদ পদে থাকাকালীন সংসদের অধিবেশনে বাংলার মানুষের উন্ন্যনের জন্য একটা কথাও খরচ করেননি তিনি। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের বিরোধীতা করেছিলেন বলেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-র অনুপস্থিতিতে বিজেপির ভোট প্রচারে কিছুটা ভাটা পড়লেও ভোটের বাজারে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে শাসক ও বিরোধীদের বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ বাঁকুড়া জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সাইকেল চড়ে ভোটের ময়দানে নেমে পড়লেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকার। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি সংলগ্ন এলাকায় লক্ষ্মী পুজো সেরে প্রচার শুরু করলেন তিনি। রুইদাসপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পায়ে হেঁটে এদিন প্রচার করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য যেভাবে মানুষ সারা দিচ্ছেন তা দারুন ব্যাপার। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদিকে ভোট না দেওয়া সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী বাংলার মানুষের জন্য যা করেছেন তাতে মানুষ কৃতজ্ঞ। তাই এবার সমস্ত মানুষ একজোট হয়ে সমস্ত ভোট বিজেপিকেই দেবে বলে দাবী করেন তিনি।