নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ শনিবার ভোররাতে লরি ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু দুই লরি চালকের। ঘটনা পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কে কাঁকসার দু-নম্বর কলোনি এলাকার। জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে বীরভূমগামী একটি লরি ও পানাগড় দিকে যাওয়া এক পাথর বোঝাই ডাম্পারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই লরি চালকের। আহত দুই লরির খালাসী। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা থানার পুলিশ। আহত দুই খালাসী ও দুই লরি চালকের দেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাস্তার মাঝে দুর্ঘটনার জেরে শনিবার সকালে বোলপুরগামী সড়কে যানচলাচল বেশ কিচ্ছুক্ষনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে। অন্যদিকে, আবারও কয়লা বোঝাই লরির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন এক সাইকেল আরোহী। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় লাউদোহার ঝাঁঝরা কোলিয়ারি এলাকায়। জানা গেছে, লাউদোহার কুচডিহি মোড় থেকে ঝাঁঝরা এমআইসি গেট এলাকার রাস্তায় গোপী কৃষ্ণ দাস নামে ঝাঁঝরা গ্রামের বাসিন্দা এক দুধ বিক্রেতা সাইকেলে করে দুধ বিক্রি করে ফেরার পথে তাকে ধাক্কা মারে ইসিএলের কয়লা বোঝাই লরি। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বেপরোয়াভাবে কয়লা বোঝাই গাড়িগুলি জনবহুল এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে। বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে কোনও পদক্ষেপ করেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ। যার জেরে বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফরিদপুর থানার পুলিশ। দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিশের আশ্বাসে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।