নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের চুরি বাঁকুড়ায়। এবার রাতের অন্ধকারে কালী মন্দিরের তালা ভেঙে মন্দিরের সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিল দুষ্কৃতিরা। ঘটনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার রামপুর গ্রামের। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে রামপুর গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা ওই কালীমন্দিরে পূজো দিতে গিয়ে দেখেন মন্দিরের প্রধান গেটের তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখেন মায়ের মূর্তিতে সজ্জিত সমস্ত সোনার অলঙ্কার উধাও। মন্দিরের বাসনপত্র সব লন্ডভন্ড। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশেপাশের লোকজনকে ডেকে ঘটনার কথা জানালে তারা গিয়ে দেখেন মায়ের টিকলি, নাকের নথ, গলার মালা, পায়ের নুপুর সবমিলিয়ে প্রায় ৩-৪ ভরি সোনার গয়না চুরি গেছে| ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলএ যায়। ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। শুধু বাঁকুড়া নয়, গত কয়েক মাস যাবৎ কাঁকসা থানা এলাকাতেও একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। চলতি মাসেই কাঁকসা থানা এলাকার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একের পর এক বাড়িতে এক রাতে পরপর চারটি বাড়ির তালা ভেঙে সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। যদিও চুরি করে পালানোর সময় একজনকে ধরে ফেলে এলাকার বাসিন্দারা। কাঁকসা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ বাকিদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। কিন্তু কথা হচ্ছে, গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া এলাকায় চুরির ঘটনা। আর সবথেকে ভাবার বিষয় এই দুষ্কৃতিদের প্রধান লক্ষ্য হল বিভিন্ন এলাকার মন্দিরগুলি। কিন্তু পুলিশ দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সেই দুষ্কৃতিদের নাগাল পাচ্ছে না। যদিও গত মাসেই দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকায় একটি মন্দিরের চুরির ঘটনার কিনারা করে পুলিশ চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রী উদ্ধার করে তা মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় বাঁকুড়া জেলাতেও চুরির ঘটনা ঘটে চললেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ একটাও চুরির ঘটনার কিনারা করতে পারে নি। ফলে পুলিশ প্রশাসনের কার্যকারীতাও এখন প্রশ্নের মুখে। যদিও সামনেই লোকসভা ভোট থাকার ফলে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এখনও চরম ব্যস্ত ফলে বিভিন্ন এলাকাগুলিতে টহলদারির পরিমাণ কমেছে। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে দুস্কৃতিরা।