নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ফের দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারে দুর্গাপুরের বিধাননগর সংলগ্ন এফসিআই ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায় নিজস্ব স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারই দুর্গাপুরে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার সংলগ্ন একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর থেকেই সিউড়িতে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন তিনি। সেখান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে “কুর্তা ও মিষ্টি প্রদান” ইস্যুতে তিনি স্বভাবসিদ্ধ আক্রমনাত্মক ভঙ্গীতে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বহু মানুষকেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা পাঠান। তাই রাজনীতির সঙ্গে পারস্পরিক সৌহার্দ্যকে এক করআ উচিত নয়। সিউড়ি থেকে দুর্গাপুরে এফসিআই ময়দানে প্রকাশ্য জনসভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই বিজেপিকে একহাত নেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য তথা শিল্পাঞ্চলে একাধিক প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের লাল ফিতের ফাঁদে আটকে রয়েছে। শুধুমাত্র কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় অনিচ্ছাকৃত দেরী হচ্ছে একাধিক প্রকল্পের কাজ শুরু হতে। পাশাপাশি দুর্গাপুরের উন্নয়নে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের হাত ধরে দুর্গাপুর শহরের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর পর থেকে প্রায় ৭০ বছরে দুর্গাপুরের কোনও উন্নতি হয়নি। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর যে পরিমাণ উন্নতি হয়েছে গোটা বাংলা সহ দুর্গাপুরে তা গত ৭০ বছরে হয়নি বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে সমগ্র রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, গ্রামীন উন্নয়ন এবং দুর্গাপুরের অন্ডাল বিমানবন্দরের মতো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। জনসভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে দুর্গাপুরের বেনাচিতির ভিড়িঙ্গী মোড় থেকে শুরু করে নাচন রোড হয়ে প্রান্তিকা পর্যন্ত প্রকাশ্য পদযাত্রায় যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পায়ে হেঁটে রোড শোয়ে সামিল হন প্রার্থী থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বেনাচিতি বাজার মুড়ে ফেলা হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। ভিড়িঙ্গী মোড় থেকে প্রান্তিকা পর্যন্ত এলাকা ব্যরিকেড করার পাশাপাশি দুপুর থেকেই বেনাচিতি বাজারে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। হাতের কাছে মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রিয় নেত্রীকে পেয়ে উচ্ছাসের বাঁধ ভাঙল দুর্গাপুরবাসীর। হাসি মুখে সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচার শেষে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।