নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ চারবারের মুখ্যমন্ত্রীকে উৎখাত করেছেন, তিনি তো সবে সাত বছর হল ক্ষমতায় এসেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গ্রাম বাংলা ঘুরে বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস্কে উৎখাত করব। বৃহস্পতিবার কাঁকসায় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে এসে এমনি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার আমলা জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি রোড শোয়ে বিজেপির হয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যোগ দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস কেবলমাত্র পিসি-ভাইপোর দল, আর বিজেপির নীতি হল সবকা সাথ সবকা বিকাশ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, ত্রিপুরায় সরকারি কর্মীদের ডিএ চালু হয়ে গেলেও বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী এখনও সরকারী কর্মীদের ডিএ প্রদান করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, তিনি এও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান প্রকল্পে ব্যাপক স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা গ্রহণ করলেও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বাংলায় এখনও আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হয়নি। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পুরুষ ভোটারদের কোমরে গামছা বেঁধে এবং মহিলাদের শাড়ির আঁচল কোষে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর মোকাবিলা করার আহ্বান জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। অন্যদিকে কাঁকসা এলাকাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। জানা গেছে কাঁকসা শেরপুরে কেউ বা কারা তৃণমুলের ফ্লেক্স ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম স্পর্শকাতর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত দত্তপুকুরে দিঘা দাসপাড়া অঞ্চলে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দত্তপুকুর অঞ্চলে। বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত অচিন্ত ওরফে টপ্পাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী পেশায় পুলিশকর্মী গোপাল কাঞ্জিলাল এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতি বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হানা দেয়। জোর করে তাকে বাইরে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রজু করেছেন। উল্লেখ্য এর আগেও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের ভোট প্রচার চলাকালীন তৃণমূল বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল।