নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ এ যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প কেন্দ্রিক আক্ষেপ “শেষ হয়েও হইল না শেষ”-র নতুন সংকলন। আগামী সোমবার চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোটগ্রহণ পর্ব। যদিও চতুর্থ দফার ভোটের আওতায় পড়ছে না বাঁকুড়া জেলা। তা সত্বেও নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে এসেও বাকজুদ্ধ শেষ হচ্ছে না শাসক-বিরোধী কোনও দলেরই। যেমন বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট প্রচারে এসে হুমকি দিলেন, আগামী ২৩শে মে-র পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থাকবে কিন্তু পার্টি অফিস খোলার লোক থাকবে না। পাশপাশি তিনি জানান, যেসব গুন্ডাবাহিনী এখন রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা যেন বাংলার বাইরে থাকার জায়গা দেখে রাখেন। অন্যদিকে থেকে থাকলেন না বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুব্রত মুখার্জীও। শুক্রবার বাঁকুড়ার সিমলাপালের লাল ময়দানে ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জনগণের উদ্দেশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সিন্ডিকেট রাজ চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বাইক র্যালিতে অংশগ্রহণ করে সুব্রত মুখার্জী পাল্টা জানান, সিন্ডিকেট বুঝি না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝি, পশ্চিমবঙ্গে মমতা রাজ চলছে আর সেটা খুব ভালোই চলছে। পাশাপাশি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করে তিনি জানান, ফাঁকা মাঠ দেখে তড়িঘড়ি চলে গেছেন তিনি। আবার লোকসভা নির্বাচনের শেষদিনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে চমক দিল দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪৩ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে বাংলা ধারাবাহিক সিরিয়াল “কৃষ্ণকলির” মূল চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও অভিনেত্রী তিয়াসা রায় (শ্যামা) এনে প্রচারে চমক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শ্যামাকে দেখতে এলাকার মহিলা থেকে শুরু করে জনসাধারণের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে শনিবারের প্রচারে রাস্তায় নামলেন দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছু চিকিৎসক। ১২ নং ওয়ার্ডের দলীয় পৌরমাতা ববিতা মুখার্জীর নেতৃত্বে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের সাথে আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে অভিনব ভাবে নিজের ভোট প্রচার সারলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিমা মন্ডল। বাসন্তী ব্লকের চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকায় নিজের ভোট প্রচারে গিয়ে ধামসা মাদলের তালে পা মিলিয়ে অভিনব ভোট প্রচার করেণ তিনি। প্রার্থীর এই ভোট প্রচারে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। আবার বিজেপির মিছিল থেকে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগে পথ অবরোধ করলো বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগের তির তৃনমূল কংগ্রেসের দিকে। রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। অভিযোগ বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রচার সেরে ফেরার সময় বনগাঁ-পাইকপাড়া এলাকায় বিজেপি কর্মীদের কটুক্তি করে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।